আলুর রস দিয়ে রূপচর্চা | আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

বহুল পরিচিত একটি সবজি হলো আলো । আলু সাধারণত আমরা রান্না করার কাজে ব্যবহার করে থাকি এবং এটি সবজি হিসেবে ব্যবহার করাই আমাদের দৈনন্দিন কাজ । কিন্তু আপনি কি জানেন আলু দিয়ে রূপচর্চা অনেক করা যায় । আলু দিয়ে রূপচর্চার মাধ্যমে খুব দ্রুত ফর্সা হওয়া যায়। আলো আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী হিসেবে করতে পারি যদি আপনি নিয়ম মেনে ভালো ব্যবহার করতে পারেন।
আলুর রস দিয়ে রূপচর্চা করা খুবই সহজ এমনকি আলু গোল গোল করে কেটেও ব্যবহার করা যায় । তবে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে কোথায় ব্যবহার করতে হবে এবং কখন ব্যবহার করতে হবে এবং কি পরিমাণ ব্যবহার করতে হবে এ সকল বিষয়ে জানা খুবই জরুরী । চলুন দেরি না করে জানানো যাক আলুর রয় যে রূপচর্চা ও আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ।
সূচিপত্র আলুর রস দিয়ে রূপচর্চা | আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

ভূমিকা আলুর রস দিয়ে রূপচর্চা | আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

সাধারণত আলু দিয়ে মানুষ রূপচর্চা কম করে কারণ আলুর গুনাগুন সম্পর্কে সবাই জানেনা । কিন্তু আলুতে যে পরিমাণ উপাদান রয়েছে সে সকল উপাদান গুলো ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী । আলোর রস বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায় বিভিন্ন উপাদানের সাথে মিশিয়ে আলুর রস ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করা যায় । 

আলুর রস দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করার কিছু উপায় রয়েছে এবং কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো জানা থাকলে আলুর রস দিয়ে রূপচর্চা ও আলু দিয়ে ফর্সা হওয়া খুবই সহজ। আলুর সাথে সাধারণত লেবুর রস মিশিয়ে রূপচর্চা করা যায় আবার যে আলুর রসের সাথে কিছুটা পরিমাণ মধু মিশিয়েও ফেসপ্যাক তৈরি করে রূপচর্চায় ব্যবহার করা যায় । 

যারা আলু ব্যবহার করে রূপচর্চা করে তাদের ত্বক খুবই নমনীয় এবং ফর্সা হয়ে থাকে । তাই দেরি না করে আপনিও আলু দিয়ে রূপচর্চা শুরু করে দিন ।

আলুর রসের উপকারিতা

অন্যান্য সবজির মতোই আলু একটি সাধারণ সবজি হিসেবে বহুল পরিচিত । আলোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান সেগুলো সাধারণত ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং রং ফর্সা উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে । আলুর রসের কিছু নির্দিষ্ট উপকারিতা রয়েছে সেগুলো হল-
  • ওজন বাড়ার জন্য আলু অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট । তাই যারা ওজন বাড়াতে চাচ্ছেন তারা প্রচুর পরিমাণে আলু খেতে পারে এতে আপনার ওজন বেড়ে যাবে খুব দ্রুত।
  • আলুর রস পানীয় হিসেবে পান করাও যেতে পারে এতে অন্যান্য যে সকল পানীয় উপাদান পাওয়া যায় তাদের থেকে বেশি পুষ্টিগুন উপাদান রয়েছে আলুর রসে কিন্তু এটির স্বাদ একটু খারাপ হওয়ার কারণে অনেকে এটি খেতে পছন্দ করেনা তবে আপনি যদি অন্যান্য পানীয়র চেয়ে আলুর রস খেয়ে থাকেন তাহলে আপনি পাবেন অধিক পরিমাণে পুষ্টিও করা আলোর রসে প্রচুর পরিমানে হাইড্রোকেমিক্যাল ও ভিটামিন রয়েছে ।
  • বর্তমানে সাধারণত বেশিরভাগ মানুষেরই একটি কমন সমস্যা হল এসিডিটি । এই এসিডিটির জন্য খুবই উপকারী হল আলুর রস । অ্যালকালাইনের প্রধান উৎস হলো আলু এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যালকালাইন রয়েছে এটি এসিডিটি থেকে মুক্তির জন্য অত্যন্ত উপকারী ।
  • আলুর রস নিয়মিত সেবনের ফলে শরীরের ভেতরে থাকা বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে আলু সাধারণত কিডনি ও যকৃত পরিষ্কার করতে অত্যন্ত উপকারী । তাই প্রতিদিন নিয়মিত আলুর রস সেবন করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ।
  • অনেক সময় দেখা যায় কি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলে যায় আবার চোখও নিজেও ভুলে যেতে পারে এই মত অবস্থায় আপনি যদি আলু গোল গোল করে চাকা করে কেটে নিয়ে খোলা জায়গায় লাগিয়ে রেখে দিতে পারেন প্রায় ২০ মিনিট তবে আপনি খুব সহজেই খোলা ভাব কমিয়ে ফেলতে পারবেন এছাড়া বিভিন্ন ঔষধ খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন অবস্থানে ফুলে যেতে পারে সেইসব স্থানে আলু কেটে লাগিয়ে রাখলে অনেক ভালো ফলাফল লক্ষ্য করা যায়।
  • অনেকে রয়েছে যাদের ত্বক জ্বালাপোড়া করে তাদের জন্য আলো খুবই উপকারী। আলু থেঁতলে সে তা থেকে রস বের করে ত্বকের যে স্থানে জ্বালাপোড়া করে সে স্থানে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলে জ্বালাপোড়া বন্ধ হয়ে যায় ।

মুখে আলু দেওয়ার উপকারিতা | মুখে আলুর রস লাগানোর উপকারিতা

  • আলু তে যে পুষ্টি কোন উপাদান রয়েছে এই পুষ্টিকরণ উপাদান চুলকানি সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। ত্বকের যে স্থানে অতিরিক্ত চুলকানি ভাব দেখা দেয় সেখানে আলুর রস ঘষে দিলে কয়েকদিনের মধ্যেই চুলকানি ভালো হয়ে যায়। এছাড়াও চুলকানির জাতীয় যেকোন সমস্যায় আলুর রসের গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম ।
  • অনেকের দেখা যায় মাথায় প্রচুর পরিমাণে সাদা সাদা চামড়া উঠতে দেখা যায় এটাকে সাধারণত খুশকি বলা হয় । এই খুশকি দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে । আলু থেতলে রস বের করে মাথায় 20 মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ভালো হবে মাথা ধুয়ে ফেললে খুশকি দূর হয়ে যায়। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করার পর খুশকি একেবারে ভালো হয়ে যাই ।
  • আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে , ভিটামিন সি , জিংক , লৌহ , পটাশিয়াম ও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ।
  • আলুতে এই সকল উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকার ফলে ত্বকের কোষ গঠনে আলো অত্যন্ত সাহায্যকারী একটি উপাদান ।

আলুর রস বের করার উপায়

অনেকেই আলু থেকে রস বের করতে পারেন না তাদের জন্য আজকে একটি পদ্ধতি শিখিয়ে দেব সেটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আলো থেকে সম্পূর্ণ রস চুষে বের করতে পারবেন । প্রথমে আপনাকে নিতে হবে একটি আলু এবং আলু কুচি কুচি করে কাটার জন্য একটি অস্ত্র । একটি পাত্রের মধ্যে আলু কুচি কুচি করে কেটে নিবেন । 

কচি কচি করে কেটে নেওয়া আলু একটি শক্ত হাতল ব্যবহার করে থেতলে নিবেন অথবা যদি আপনার ব্লেন্ডার থাকে তাহলে আপনি কুচি কুচি করা আলু ব্লেন্ড করে নিতে পারেন । ব্লেন্ড করা হয়ে গেলেন ছোট একটি কাপড়ের ওপর ঢেলে নিয়ে কাপড়ে চারিদিক থেকে ধরে চাপ দিতে যাব এবার দেখবেন রসগুলো বের হয়ে যাচ্ছে সেগুলো একটি পাত্রে সংরক্ষণ করুন। 

যতক্ষন পর্যন্ত রস বের হবে ততক্ষণ চিপে চিপে রস বের করা হয়ে গেলে আলুর ছোবলাগুলো ফেলে দেন ।

আলুর রস সংরক্ষণ | আলুর রস কিভাবে সংরক্ষণ করবেন

আলু থেকে রস বের করার পর এটি সংরক্ষণ করা খুবই প্রয়োজন কারণ আপনি এটি বারবার ব্যবহারের সময় বারবার কষ্ট করে রস বের করতে বিরক্ত বোধ করতে পারেন তাই এটি থেকে একবার রস বের করে কয়েকবার ব্যবহার করার জন্য সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হবে এটি সংরক্ষণ করা খুবই সহজ । আলু থেকে রস বের করার পর ১৫ মিনিটের মধ্যে এটি ব্যবহার করা গেলে খুবই ভালো । 

আর যদি ১৫ মিনিটের মধ্যে ব্যবহার না করতে পারেন পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য রেখে দিতে চাইলে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে একটি বায়ুরোধক পাত্র । এই পাত্রের মধ্যে রেখে আপনি ফ্রিজে নরমাল টেম্পারেচার ব্যবহার করে রাখতে পারবেন অন্তত তিনদিন । তিন দিনের বেশি আলুর রস সংরক্ষণ করবেন না কারণ আপনি যেহেতু এটি ত্বকে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করছেন সেজন্য বেশি দিন ধরে এটি জমিয়ে না রাখাই উত্তম ।

আলু রসের অপকারিতা

আলুর যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে কিছু অপকারিতা । আলোর উপকারিতা জানার পর যদি আপনি আলুর উপকারিতা সম্পর্কে না জানেন এবং এটির ব্যবহার করে থাকেন তবে আপনি খুব সহজে পড়ে যেতে পারেন অনেক বড় ঝুঁকির মুখে তাই আলু ব্যবহারের আগে অবশ্যই অপকারিতা সম্পর্কে আপনাকে জেনে নিতে হবে চলুন জানানো যাক-

১ /  আলু সাধারণত দুইটি উপায়ে ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে একটি হলো আলুর রস তকে লাগিয়ে ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য ব্যবহার করা হয় । কিন্তু আপনি ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য আলুর রস যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করে থাকেন তবে আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তাই কোন অবস্থায়

এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না প্রয়োজনের তুলনায় কোন কিছুই অতিরিক্ত ব্যবহার করা ভালো না এটা আমরা সবাই জানি তবে যাদের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল তারা আলো বেশি ব্যবহার করবেন না এমন কি এটি দ্বারা তক বেশি ঘষাঘষি করবেন না এর ফলে আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে ।

২/  দুই নাম্বার হলো অনেকেই আছে আলু রস করে খেয়ে উপকারের চিন্তাভাবনা করে কিন্তু এর ফলে আপনার অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে দীর্ঘদিন যাবত আলুর রস খাওয়ার অভ্যাস হয়ে গেলে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে একটি কমন সমস্যা হলো স্থূলতা । আলুতে যে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে 

এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে আপনার স্থূলতার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে এছাড়াও আলু অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে জন্ম নিতে পারে বাতের সমস্যা তাই যারা অতিরিক্ত আলুর রস এমন করে তাদেরকে বলুন আলুর রস পরিমাণ মতো সেবন করতে এবং যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের আলুর সেবন করতে নিষেধ করুন ।

আলু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

আলুতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ উপাদান বিদ্যামান থাকার ফলে আলু ব্যবহারের ফলে ত্বক থেকে ব্রণ দূর করা সম্ভব তবে শুধু আলুর রস ব্যবহার করে ব্রণ দূর করা একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার তাই ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য এর সাথে কিছুটা পরিমাণে মধু এবং কিছুটা পরিমাণে টমেটোর রস মিশিয়ে একসাথে পেস্ট তৈরি করে তোকে ব্যবহার করে রাখলে ত্বক দ্রুত তার উজ্জ্বলতা ফিরে পাই 

এবং তাদের ময়লা দূর হয় এর ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় । আলুর রস ১৫ থেকে ২০ মিনিট ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে ব্রণ দূর করা যায় তাই আপনার শরীরে কিংবা ত্বকে যদি অতিরিক্ত পূরণ থেকে থাকে তবে আপনি আলুর রসের সঠিক ব্যবহার জেনে আলুর রস ব্যবহারের মাধ্যমে দূর করতে পারে আপনার ত্বকের ব্রনের মত বিভিন্ন সমস্যা ।

আলু দিয়ে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় | ব্রণের দাগ দূর করতে আলুর ব্যবহার

আলু দিয়ে ব্রণের দাগ দূর করা খুবই সহজ এর জন্য আপনি প্রথমে কিছুটা পরিমাণ আলো কেটে নিবেন আলু কুচি কুচি করে কেটে নেওয়ার পর ঠেকলে তা থেকে রস বের করবেন রসের সাথে মেশাবেন অল্প পরিমাণে মধু এবং কিছুটা পরিমাণে টমেটোর রস এবার ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে পুরো পুরো মুখে লাগিয়ে নিতে পারবেন খুব সহজেই 

এভাবে রেখে দিতে হবে ২০ থেকে ২৫ মিনিট তারপর দেখবেন যখন শুকিয়ে গেছে তখন ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন এবার পরিবর্তনটা লক্ষ্য করুন । এছাড়াও আপনি আপনার ত্বকের যে স্থানে কালো দাগ রয়েছে সেই স্থানে ছোট ছোট টুকরো আলু নিয়ে বসিয়ে রাখতে পারেন কিছুক্ষণ বিশ থেকে 15 মিনিট বসিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলে দেখুন দাগ হালকা হয়ে এসেছে ।

এভাবেই কয়েকদিন ব্যবহার করার পর আলু দিয়ে ব্রণের দাগ দূর করা সম্ভব ।

আলুর রসের ফেসপ্যাক

আলোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগণ উপাদান ভিটামিন বি , ভিটামিন সি , পটাশিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম । তাই আলু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদির দ্বারা বিভিন্ন উপায়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা সম্ভব যেসব উপায়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা সম্ভব সেগুলো আপনাকে আজকে জানিয়ে দেবো -

আলু ও শসার ফেসপ্যাক

ছোট একটি ন আলু নিয়ে যে পদ্ধতিতে রস বের করানো শেখানো হয়েছে সেই পদ্ধতিতে রস বের করে দিন এবার রস একটি ছোট পাত্রে সংরক্ষণ করে নিন অন্যদিকে একটি শসা সংগ্রহ করুন এবার শশা থাকলে তা থেকে রস বের করে নিন রস বের করে নেওয়ার পর আলুর রস ও শসার রস একসাথে মিশিয়ে নিন ভালোভাবে । 

এবার ত্বকের যে স্থানে আপনি লাগাতে চান সেই স্থানে লাগিয়ে রাখুন প্রায় ২০ মিনিট ।২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । ধুয়ে ফেলার পর আপনার ত্ক হয়ে যাবে ফর্সা চকচকে।

আলু ,কাঁচা দুধ ও মধুর ফেসপ্যাক

শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যার জন্য এই ফেসপ্যাকটি খুবই উপকারী হিসেবে কাজ করবে আপনি যদি শুষ্ক ত্বক থেকে রেহাই পেতে চান এবং ত্বককে সুন্দর উজ্জ্বল ক্লাস স্কিনের মত করতে চান তবে আপনি এই ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারবেন । প্রথমে একটি আলো থেকে রস বের করে নেয়ার পর তাতে মিশাতে হবে এক চা চামচ কাঁচা দুধ ও এক চা চামচ মধু । 

এগুলো ভালো হবে মিশিয়ে আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত । শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলে নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন । এভাবে কয়েক দিন ব্যবহার করতে থাকুন পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন ।

আলু কাঁচা দুধ ও গ্লিসারিন এর ফেসপ্যাক

আলুর এই প্যাক বানানো খুবই সহজ প্রথমত একটি আলুর রস বের করে তার সাথে সাথে কিছুটা পরিমাণে দুধ মিশিয়ে এর মধ্যে দিয়ে দিবেন কয়েক ফোটা গ্লিসারিন । এরপর ভালোভাবে মিশিয়ে গালে লাগিয়ে রাখতে হবে তবে এটি বেশিক্ষণ লাগিয়ে রাখবেন না পাঁচ মিনিটে যথেষ্ট ।

আলুর রস ও মধু

আলোর রস এক চা চামচ নিয়ে তার মধ্যে দিতে হবে ১ চা চামচ মধু এবার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে মেশানো হয়ে গেলে ত্বকের যে স্থানে আপনি লাগাতে চাচ্ছে স্থানে ভালোভাবে গোল গোল করে ঘুরিয়ে লাগিয়ে রাখুন । এটি লাগিয়ে রাখতে হবে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট ।.১৫থেকে 20 মিনিট লাগিয়ে রাখার পর লক্ষ্য করবেন শুকিয়ে গেছে । 

শুকিয়ে যাওয়ার পর পানি দিয়ে ভালো হবে ধুয়ে ফেলুন । পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পর শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে দেওয়ার পর পরিবর্তনটা নিজের লক্ষ্য করতে পারবেন কতটা উজ্জ্বল হয়েছে । এটি খুবই উপকারী এটি আপনি খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন এবং এটি প্রতিদিন ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভালো ।

আলুর রস মুখে লাগালে কি হয় | আলু মুখে দিলে কি হয়

আলুর রস মুখে লাগালে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে উজ্জ্বল ফর্সা হয়ে যায় । রূপচর্চার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । এটি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায় এমনকি এই রস সংরক্ষণ করা যায়। আলুর রস মুখে দেওয়ার মাধ্যমে চোখের নিচে কালো দাগ দূর করা যায় । ঠিকমতো ঘুম না হওয়া আবার বিভিন্ন ধরনের 

ওষুধ খাওয়ার ফলে মুখমন্ডল খুলে যেতে পারে এই ফোলা ভাব দূর করতে আলোর রস অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তাই এ সকল সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন । এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে এ সকল সমস্যা থেকে রক্ষা পেয়ে যাবেন ।

আলুর ফেসিয়াল কিভাবে করব

বিভিন্নভাবে আপনি আলোর ফেসিয়াল করতে পারবেন তবে শুধু আলু দিয়ে ফেসিয়াল করলেই হবে না । আলু দিয়ে ফেসিয়াল করতে হলে সাধারণত আলোর প্যাক বানিয়ে মুখে ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে তা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে । বিভিন্ন পায়ে আলু দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ফেসিয়াল করা যায় । 

যে সকল পদ্ধতিতে আলু ফেসিয়াল বানিয়ে ফেসপ্যাক করা যায় তা হল-
  • আলু ও শসা দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে
  • আলু, কাঁচা দুধ ও মধু দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে
  • আলু, কাঁচা দুধ ও গ্লিসারিন দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে
  • আলু, কাঁচা দুধ ও আমন্ড অয়েল দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে
  • আলু, মুলতানি মাটি ও গোলাপজল দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে
  • আলু, টকদই ও হলুদ দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে
  • আলু, টমেটো ও দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে
  • আলু, টমেটো ও টকদই দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে
  • আলু ও লেবুর রস দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে

পরামর্শ আলুর রস দিয়ে রূপচর্চা | আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমরা সাধারণত আপনাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি আজকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি এবং আলুর রস দিয়ে রূপচর্চা এবং আলুর রস দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় তবে সবার ত্বকের জন্য এটি কার্যকারী হবে এমনটা নয় । আপনি যেকোনো কিছু ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন । আপনার ত্বকে সেটির কার্যকারিতা বেশি সেটি ব্যবহার করে দ্রুত ফর্সা হওয়া সম্ভব ।

শেষ কথা আলুর রস দিয়ে রূপচর্চা | আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমরা সব সময় আপনাদেরকে ভালোটাই বোঝানোর চেষ্টা করি এবং সর্বোত্তম উত্তরগুলো আপনার জন্য তৈরি করে রাখি এবং আমরা সব সময় চাই আপনাদের সেবা নিয়োজিত থাকতে । আপনি যদি আমাদের পোস্ট থেকে বিন্দুমাত্র সেবা পেয়ে থাকেন তাহলে সবার কাছে শেয়ার করে দিয়ে সবাইকে উপকৃত করবেন 

এবং আমরা প্রতিদিন নিয়মিত নতুন নতুন আপডেট বিষয় নিয়ে এবং রূপচর্চার টোটকা নিয়ে পোস্ট করে থাকি তাই পোস্ট করা মাত্রই সবার আগে পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন টেক২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url