প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় | ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

বর্তমানে ত্বক ফর্সা করার জন্য বাজারে অনেক ধরনের ক্রিম পাওয়া যায় যেগুলোর ভেতরে বেশিরভাগই ভুয়া । অনেকেই বছরের পর বছর এই ক্রিম ব্যবহার করে প্রতারিত হচ্ছেন । তবে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া সম্ভব। ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে পারবেন স্বল্প খরচে এবং কারো সাহায্য ছাড়াই। যে উপকরণগুলো প্রয়োজন সেগুলো পেয়ে যাবেন আপনার হাতের নাগালেই।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার কিন্তু ধৈর্য ধরে নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা করলে ফর্সা হওয়া সম্ভব। বাজারের কেনা ক্রিম এর চেয়ে আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায় ঘরোয়া কিছু উপকরণ ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নেন তবে খুব সহজেই আপনি ফর্সা হয়ে যেতে পারবেন স্থায়ীভাবে। আজকে এই ঘরোয়া ব্যাপারটি খুব সহজভাবে আপনাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
সূচিপত্র প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় | ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় 

ভূমিকা প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় | ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া ধৈর্যের ব্যাপার তবে আপনি যদি ধৈর্য ধরে প্রাকৃতিক উপাদান গুলো ব্যবহার করে প্রতিদিন নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন তবে অবশ্যই আপনি হয়ে যেতে পারবেন দুধের মত ধবধবে ফর্সা । প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য ঘরোয়া উপায়গুলো সর্বত্র গ্রহণযোগ্য কারণ ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে ত্বকের কোন ক্ষতি হয় না । 
এছাড়াও প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করার ফলে তোকে প্রাকৃতিকভাবে ফিরে আসে উজ্জ্বলতা এবং ত্বক হয়ে যায় ফর্সা । প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে হলে আজকে যে ঘরোয়া উপায় গুলো বলবো সেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করে আপনি সফলতা পাবেন।

কোরিয়ানদের মতো ফর্সা হওয়ার উপায়

বর্তমান বিশ্বে কোরিয়ানদের দেখে হিংসা করে না এমন মেয়ের খোঁজ পাওয়া যাবে না। কোরিয়ানদের চেহারা কোরেয়ানদের লাইফস্টাইল কোরেয়ানদের ত্বক মেয়েদের সবার প্রিয়। তাই অনেকে চাই কোরিয়ানদের মতো ফর্সা টুসটুসে ত্বকের অধিকারী হতে । শুধু চাইলেই হবে না কোরিয়ানরা যেভাবে তাদের ত্বকের পরিচর্যা করে 
 

এবং তাদের লাইফ স্টাইল পরিচালনা করে সে সকল নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে কঠোরভাবে। বর্তমান বিশ্বের মধ্যে কোরিয়ানরাই একমাত্র জাতি যাদের রয়েছে অসাধারণ চেহারা । তারা কিছু টোটকা ব্যবহার করে তাদের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়। এ সকল টোটকা যদি আপনি মেনে চলেন তবে হয়ে যেতে পারবেন কোরিয়ানদের মতো ফর্সা । সেগুলো হল-
  • গরম পানির ভাব ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে । কোরিয়ানরা সপ্তাহে দুইবার তাদের তকে গরম পানির ভাব দিয়ে তাদের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে এবং সৌন্দর্য ধরে রাখতে সক্ষম হয় । তাই আপনিও এই টোটকাটি খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবেন ।
  • শরীরকে সুন্দর এবং স্মার্ট রাখতে হলে মেসেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি । কোরিয়ানরা প্রতিদিন তাদের বিশেষ ধরনের রোলার দিয়ে তাদের ত্বক মেসেজ করে থাকে । মেসেজ করার ফলে তাকে রক্ত চলাচল চঞ্চল বৃদ্ধি পায়। এরপরে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় তাই আপনাকেও প্রতিদিন অভ্যাস করতে হবে অন্তত একবার রোলার দিয়ে মেসেজ করা ।
  • প্রথমত আপনাকে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে এবং টোনার লাগাতে হবে এরপর ভালো একটি ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে রাখতে হবে এতে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ফর্সা হবে ।
  • কোরিয়ানরা তাদের ত্বকের কালো দাগ দূর করার জন্য যে সকল প্রোডাক্ট ব্যবহার করে সে সকল প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত আপনি বাজারে বিভিন্ন মেইড ইন কোরিয়ান প্রোডাক্ট পেয়ে যাবেন সেগুলো ব্যবহার করুন ।
  • কোরিয়ানরা সাধারণত দুই ধরনের মাস্ক একসাথে ব্যবহার করে থাকে সে দুটি হলো একটি তারা ব্যবহার করে ত্বকের ময়লা আবর্জনা দূর করার জন্য আরেকটি ব্যবহার করে তবে আদ্রতা ভালোভাবে ধরে রাখা এবং ততই সুস্থ রাখার জন্য । তাই আপনি একই সাথে দুইটি ব্যবহার করার অভ্যাস করুন এতে আপনার প্রথমত ময়লা দূর হবে এবং পরবর্তী ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে ।
  • আপনি আপনার ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখার জন্য একটি মেশিন ক্রয় করতে পারেন যার নাম মাইক্রো কারেন্ট । এটি ক্রয় করে আপনি বাড়িতে একা একা ব্যবহার করতে পারবেন খুব সহজেই। টক যদি জর্জর হয়ে যায় তাহলে দেখতে ভালো লাগে না এবং কি তাদের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায় তাই কোরিয়ানদের মতো তোকে টানটান ভাব বজায় রাখতে এই মেশিনটি ব্যবহার করবেন ।
  • ত্বকে সাধারণত অনেক সময় দেখা যায় বালিরেখা পড়ে যায় আপনাকে এই বালেরেখা থেকে মুক্তি পেতে হলে ভিটামিন ইনফিউশন থেরাপি ব্যবহার করতে হবে ।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা ভাব ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল অথবা নারিকেল তেল দিয়ে ভালোভাবে ত্বক মালিশ করুন গোল গোল আকৃতির করে আঙ্গুলের মাথা দিয়ে ঘষতে হবে । এরপর ত্বকের ময়লা দূর করার জন্য যেকোন ধরনের ভালো একটি ফেসওয়াশ ব্যবহার করে ভালো একটি নাইট ক্রিম হালকাভাবে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
  • রূপচর্চার জন্য খুবই উপকারী একটি উপকরণ হলো সিট মাস্ক । ব্যবহারের পরে আপনার সময় কম লাগবে শক্তি অপচয় কম হবে এমনকি আপনি খুব দ্রুত হয়ে উঠবেন ফর্সার টুস টুসে ।

লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিডের মত বিভিন্ন উপাদান । তবে অনেকেই মনে করেন লেবু দিয়ে খুব সহজে ত্বক ফর্সা করা যায় । আমেরিকায় গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা একটা বিবৃতি দিয়েছেন তা হল লেবু দিয়ে তোকে ফর্সা করা যায় না কারণ লেবু ত্বকের ময়লা দূর করলেও ফর্সা করতে সফল হয় । তবে লেবু ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে তাকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব । 

ত্বকের ময়লা দূর করতে লেবু ব্যবহার করা যেতে পারে । লেবুর সাথে আরো কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে ত্বকের ময়লা কাটানো সম্ভব এবং উজ্জ্বলতা ভাব ফিরিয়ে আনা সম্ভব । তবে আপনি যদি ভেবে থাকেন লেবুর রস গালে মেখে ফর্সা হয়ে যাবেন তবে এটা ভুল ধারণা । শুধু লেবুর রস গালে মাখলে ফর্সা হবেন এটা অসম্ভব 

তবে লেবুর সাথে আরো কিছু উপাদান মিক্সার করে একটি প্যাক বানিয়ে আপনি রেগুলার ব্যবহার করলে ফর্সা হওয়া সম্ভব কিছুটা পরিমাণে এর জন্য আপনি লেবুর সাথে মধু ব্যবহার করতে পারবেন , লেবুর সাথে অলিভ অয়েল অথবা জল বাই তেল ব্যবহার করতে পারবে , লেবুর সাথে ঘুমের আটা ব্যবহার করে মুখে লাগাতে পারবেন 

এছাড়াও লেবুর সাথে ডিমের কুসুম ব্যবহার করে পেক তৈরি করে মার্কসের মত ব্যবহার করে ফর্সা হওয়া সম্ভব। এজন্য আপনাকে জানতে হবে লেবু দিয়ে প্যাক তৈরির পদ্ধতি এবং ব্যবহারবিধি ।

আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আলোতে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ রয়েছে যেগুলো আপনার ত্বক উজ্জ্বল ফর্সা করতে সাহায্য করে । আলু দিয়ে খুব সহজে ফর্সা হওয়া যায় প্রথমত আপনাকে আলো কুচিকুচি করে কেটে নিতে হবে । এবং একটি পাত্রে রেখে ভালোভাবে থেতলে নিতে হবে । ঠেলে নেওয়ার পর দেখবেন আলো থেকে রস বেরিয়ে আসছে । 

রস চিপে বের করে নিয়ে এটা কিছুটা পরিমাণে মধু মাখিয়ে গালে লাগাতে হবে । ১৫ মিনিট রেখে দেওয়ার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে । এরপর ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন আপনার গাল উজ্জ্বল ফর্সা হতে শুরু করেছে । এভাবে আপনি প্রতিদিন একবার করে এই প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যেতে থাকুন । 

এক মাস পর দেখবেন আপনি ফর্সা হবে তবে দুধের মত হয়ে গেছেন । এটি খুবই স্বল্প মূল্যে করা সম্ভব একটি ঘরোয়া সহজ পদ্ধতি হিসেবে বাঙালি মেয়েরা এই পদ্ধতি করে থাকে ।

লেবু ও হলুদ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

হল ত্বক ফর্সাকারী উপাদানের মধ্যে একটি অন্যতম উপাদান । হলুদ ব্যবহারের ফলে তা খুব সহজেই উজ্জ্বল ফর্সা হয়ে যায় এবং এটি ব্যবহার করা খুবই সহজ । বাঙালি মেয়েরা হলুদের গুনাগুন সম্পর্কে জেনে থাকলেও এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা অনেকেরই অজানা । তাই আপনাকে জানতে হবে হলুদ কিভাবে ব্যবহার করবেন । 

হলুদের সাথে কিছুটা পরিমাণে লেবুর রস ব্যবহার করলে উপকার বেশি পাওয়া যায় । তাই কিছুটা পরিমাণে লেবুর রস এবং তাদের সমপরিমাণও হলুদের পেস্ট মিশিয়ে গালে 15 মিনিট লাগিয়ে রাখুন এরপর গাল শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে আপনার মুখে হালকা উজ্জ্বল ভাব চলে আসবে । 

এভাবে আপনি কিছুদিন ব্যবহার করলেই পরিবর্তনটা লক্ষ্য করবেন । লেবু ও হলুদের রয়েছে কিছু উপাদান যেগুলো ত্বকের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং প্রাকৃতিকভাবে আপনাকে ফর্সা করবে । প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে চাইলে লেবু হলুদ একসাথে ব্যবহার করুন ।

লেবু ও চিনি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

চিনিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকের উপাদান যা আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং আপনার ত্বকের রং ফর্সা করতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফর্সা করার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে চিনি ব্যবহার করার আগে যিনি গুঁড়ো করে নিতে হবে। গুরু চেনের মধ্যে কিছুটা পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে ভালোভাবে তোকে মালিশ করতে হবে । 

মালিশ করার পর রেখে দিতে হবে কয়েক মিনিট রেখে দেয়ার পর দেখবেন চড়চড়ে হয়ে শুকিয়ে গেছে তারপর গরম হালকা কুসুম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন । ধুয়ে নেওয়ার মুখ আয়নায় গিয়ে দেখুন পরিবর্তনটা লক্ষ্য করতে পারবেন । প্রতিদিন যদি এভাবে লেবু চিনি ব্যবহার করে ত্বকের পরিচর্যা করেন তবে আস্তে আস্তে আপনি হয়ে উঠবেন ফর্সা ।

টুথপেস্ট দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

সাধারণত টুথপেস্ট ব্যবহার করা হয় দাঁত পরিষ্কার করার জন্য । টুথপেস্ট ব্যবহার করলে দাঁতের বিভিন্ন কোনায় কোনায় জমে থাকা ময়লা গুলো বেরিয়ে আসে এবং দাঁতকে করে চকচকে ঝল জলে উজ্জ্বল । ঠিক তেমনি আপনি মুখের জন্য ফেসওয়াশ ব্যবহার করেন সেই ফেসওয়াশ টি ব্যবহার করার পর মুখ হয়ে যায় উজ্জ্বল সাদা । 

আপনি যদি ফেসওয়াশ এর পরিবর্তে টুথপেস্ট ব্যবহার করেন তবে ফেসওয়াশের মত টুথপেস্ট একই কাজ করবে। সাধারণ কালো দাগ তোলার জন্য টুথপেস্ট অনেক উপকারী একটি উপকরন । টুথপেস্ট দিয়ে দাগ তোলা যায় এটি অনেকেই জানেনা তবে এটি একটি সিক্রেট উপকরণ যা ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্রণের দাগ তুলতে পারবেন খুব সহজে এবং এটি মুখে 

ফেসওয়াশের মত ব্যবহার করার ফলে আপনি সাদা ফর্সা হয়ে যেতে পারবেন খুব সহজেই। তবে এটি মুখে অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত হবে না অতিরিক্ত ব্যবহারের পরে এর বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তাই এটি পরিমাণ মতো ব্যবহার করতে হবে । চাইলে আপনি প্রতিদিন একবার টুথপেস্ট দিয়ে ফেসওয়াশের মত করে গালে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মেসেজ করতে পারেন এতে উপকার পাবেন অনেক বেশি ।

দুধ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

এমন কেউ আছে বলে মনে হয় না যে জানে না দুধে আদর্শ খাবার । আদর্শ খাবার কারণ এতে রয়েছে খাবারের সব রকম পুষ্টি উপাদান । এটি খেলে যেমন ভেতর থেকে আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা টকটকে রঙের হবে ঠিক তেমনি দুধের সর আপনার গালে লাগানোর ফলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বকের পুষ্টিগুণ বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাবে । 

প্রতিদিন একবার করে দুধ অথবা দুধের সর তকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট । 15 থেকে 20 মিনিটে লাগিয়ে রাখার পরে ভালোভাবে লক্ষ্য করতে পারবেন আপনার ত্বক দুধের মত ফর্সা হয়ে যেতে শুরু করেছে । এটি প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার এটি অন্যতম উপায় । দুধ ত্বকে ব্যবহারের ফলে তোকে মশ্চারাইজার বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের নানান সমস্যা থেকে রক্ষা করে ।

শুধু লেবুর রস মুখে দিলে কি হয়

শুধু লেবুর রস মুখে দিলে তেমন কোন উপকার পাওয়া যায় না কারণ লেবুর রস ত্বক ফর্সা করতে পারেনা। লেবুর রস শুধু শুধু যদি আপনার মুখে দেন তাহলে কিছুটা পরিমাণ ময়লা কেটে যেতে পারে। অনেকে মনে করেন লেবুর রস ত্বক ফর্সা করতে পারে কিন্তু এটা ভুল ধার... আমেরিকান গবেষণা করে বের করেছে লেবুর রস টক ফর্সা করতে পারে না । 

লেবুর রসের সাথে যদি আরো কিছু উপকরণ এড করে তোকে ব্যবহার করা যায় তবে ত্বক ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু লেবুর রস দিয়ে সম্ভাবনা নেই । তবে লেবুর রস ব্যবহার করে ত্বকের কিছুটা ময়লা কাটিয়ে উঠতে পারবেন ।

মধু ও লেবুর রস মুখে দিলে কি হয়

মধু ও লেবুর রস ব্যবহারের পদ্ধতি আমরা ইতিমধ্যেই আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন মধু ও লেবুর রস দিলে কি হয় সে সম্পর্কে আপনারা আমাদের পোস্টে যে ধারনা পেয়েছেন সেখান থেকে বলতে চাই মধু ও লেবুর রস মুখে একসাথে লাগালে ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে । আপনি যদি টক ফর্সা করতে চান তবে মধু এবং 

লেবুর রস একসাথে ব্যবহার করে ত্বকের প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার জন্য মধু এবং লোবুর রস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তাই আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায় ফর্সা হতে চান তবে মধু এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে ভালোভাবে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন ।

পরামর্শ প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় | ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় 

প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে যেগুলোর মধ্যে কয়েকটি অন্যতম উপায় সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করেছি । এগুলো সম্পর্কে আশা করি আপনি সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন তাই এগুলো থেকে ধারণা নেওয়ার পর আপনি প্রতিদিন নিয়মিত এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করুন । প্রতিদিন নিয়মিত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করার ফলে আপনি ফর্সা হতে পারবেন 

তবে ব্যবহার করার আগেই পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং যাচাই করে নিবেন আপনার ত্বকের জন্য এগুলো উপযোগী কিনা । আপনার ত্বকের জন্য যদি এগুলো উপযোগী না হয় তাহলে অবশ্যই ব্যবহার করবেন না কারণ আপনার ত্বকের উপযোগী না হলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে ।

শেষ কথা প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় | ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় 

উপরে আমরা যেসব প্রাকৃতিক উপায়ে দীর্ঘস্থায়ীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে ফর্সা হওয়ার কিছু টোটকা নিয়ে আলোচনা করেছে সেগুলো আপনার ফর্সা করতে খুবই উপকারী ভাবে দায়িত্ব পালন করবে তাই আপনাকে অবশ্যই সতর্কতার সাথে প্রতিদিন নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে । প্রতিদিন নিয়ম গুলো মেনে চলার ফলে আপনি ফর্সা হয়ে যেতে পারবেন খুব সহজে । 

আপনি যদি এখান থেকে কিছুটা পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আমাদের পোস্ট সবার মাঝে শেয়ার করে দিয়ে সবাইকে সুন্দর ফর্সা হওয়ার সুযোগ করে দিন । এবং কিছু সহজ সরল এবং সুন্দর সহজলভ্য উপায় সম্পর্কে আমরা প্রতিদিন নিয়মিত আপডেট দিয়ে থাকি এ সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন টেক২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url