ঘুমের উপকারিতা ও অপকারিতা | বেশি বা কম ঘুমালে কি হয়

মানুষের শরীরের জন্য ঘুম খুবই উপকারী একটি বিষয় । তবে অতিরিক্ত ঘুমালে যেমন ক্ষতি হয় তেমনি কম ঘুমালে অনেক ক্ষতি হয় । অনেকে আছেন যারা অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকেন তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে এবং বিভিন্ন জটিলতায় ভুগতে হতে পারে । আবার যারা বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে বেশি ঘুমাতে পারেন না অল্প পরিমাণে ঘুমান তাদের জন্য শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে । তাই আপনাকে সঠিক বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে ঘুমের মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে ।
আপনার শরীর সুস্থ রাখতে হলে আপনাকে জানতে হবে ঘুমের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কতটুকু আপনাকে ঘুমানো প্রয়োজন । আপনি যদি ঘুমের উপকারিতা না জানেন তবে অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস হয়ে গেলে আপনি পড়তে পারেন বিভিন্ন সমস্যায় । এই সমস্যা থেকে মুক্ত রাখার জন্য আমরা আজকে ঘুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ।
সূচিপত্র

ভূমিকা ঘুমের উপকারিতা ও অপকারিতা | বেশি বা কম ঘুমালে কি হয়

খুব একটি প্রাকৃতিক বিষয়ে যা প্রতিটা মানুষের শরীরে শক্তি ফিরিয়ে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্ক করে শান্ত। সারাদিন খাটাখাটনি করার পর রাতে পরিবার মত ঘুমানো খুবই প্রয়োজন । পরিমাণ মতো ঘুমালে যেমন উপকার হয়েছে তেমনি বেশি পরিমাণে ঘুমালে রয়েছে কিছু অপকার। আপনি যদি অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকেন তবে আপনাকে জানতে হবে এর অপকারিতা সম্বন্ধে । 
এছাড়াও আপনি যদি কাজের চাপে কম ঘুমিয়ে থাকেন তবে এর জন্য কিছু রয়েছে অপকারিতা । এ সকল বিষয়ে আজকে আপনি সফল ধারণা পাবেন ।

ঘুমের উপকারিতা

ঘুমের উপকারিতা অবশ্যই রয়েছে যদি আপনি পরিমাণ মতো ঘুমিয়ে থাকেন এর ফলে আপনার অবশ্যই উপকার হবে আর যদি আপনি অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকেন তবে উপকারের আশা করা যায় না । পরিমাণ মতো ঘুমের উপকারিতা অনেক রয়েছে এর মধ্যে কয়েকটি কমন উপকারিতা আপনার প্রতিদিন শরীরের উপর প্রভাব ফেলে যেমন-
  • শরীরে হারানো শক্তি ফিরিয়ে আনতে ঘুম অনেক সাহায্য করে
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য পরিমিত ঘুম প্রয়োজনীয়
  • সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে রাতের ঘুম আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী
  • ঘুম সঠিক হলে পরবর্তী দিনে আপনি কাজের জন্য সম্পূর্ণ মনোযোগ ব্যবহার করতে পারবেন
  • পরিমিত ঘুমালে আপনার বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন
  • শরীরের ওজন থাকবে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায়
  • এছাড়াও আপনার তক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল লাবণ্যময়ী
  • এ সকল কমন বিষয় ছাড়াও ঘুমের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে দেখা যায় । তাই আপনার পরিমিত ঘুম প্রতিদিন পেড়ে নেওয়া উচিত।

ঘুমের অপকারিতা

পরিমিত ঘুম যেমন শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী তেমনি অপরিমিত ঘুমের জন্য অত্যন্ত আপকারী ।
শরীরকে সুস্থ রাখতে পরিমিত ঘুম পারা অত্যন্ত জরুরী এবং সুস্থ রাখার জন্য আপনার অতিরিক্ত ঘুম ত্যাগ করতে হবে। অতিরিক্ত যারা ঘুমান না তাদের জন্য অপকারিত আর কোন কারণ নেই কিন্তু যারা পরিমিত না ঘুমিয়ে খুব কম পরিমাণে ঘুমায় তাদের জন্য অপকারিতা রয়েছে । 

অপরিমিত ঘুমের কিছু অপকারিতা হলো-
  • অপরিমিত ঘুমের কারণে মাথায় প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হয় যার ফলে স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে
  • রাতে পরিমিত ঘুম না হলে সারাদিন ঝিম ধরে থাকতে পারে
  • কাজে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না অপরিমিত ঘুম হলে
  • শরীর হয়ে যায় দুর্বল
  • অপরিমিত ঘুমের কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়তেও দেখা যায়
  • শরীরের উজ্জ্বলতা কমে যায়
  • দেখে কেমন রোগাক্রান্ত মনে হয়
  • খাবারের অরুচি চলে আসে
  • বমি বমি ভাব হতে পারে
  • এছাড়াও কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ।

দুপুরে ঘুমানোর উপকারিতা

অনেকে আছে যারা দুপুরে ব্যস্ত থাকে কিন্তু ঘুমাতে পারে না । আবার অনেকে আছে দুপুরে প্রতিদিন নিয়মিত ঘুমান । কেউ কেউ বলে থাকে দুপুরে ঘুমালে শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে আবার অনেকে আছেন যারা বলে থাকে দুপুরে ঘুমানো শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় । 

তবে কিছু বিশেষজ্ঞ রয়েছে যাদের মতে , দুপুরে অল্প কিছুক্ষণ ঘুমালে শরীরের জন্য খুবই উপকার এবং শরীর সুস্থ থাকে কারণ দুপুরের ঘুমের মধ্যে কোন তাড়াহুড়া থাকে না তাই রক্ত চলাচল সচল থাকে । ব্লাড প্রেসার এবং রক্তচাপ দুটোই কাঙ্খিত মাত্রায় থাকে । তবে সকল প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের দুপুরে ঘুমের অভ্যাস করা প্রয়োজন দুপুরে ঘুম শরীরের জন্য উপকার ।

দিনে ঘুমানোর উপকারিতা

দিনের বেলা দুপুরে ঘুমালে অবশ্যই উপকার আছে কিন্তু আপনি যদি সারারাত জেগে কাজ করার পর দিনে ঘুমাতে যান তবে এখানে কিছু রয়েছে অপকারিতা ।দিনের বেলা আপনি দুপুরে ঘুমাতে পারেন এই সময় ঘুমালে শরীর ভালো থাকে এবং অনেক উপকারী । 

কিন্তু অনেকে আছেন যারা সারারাত কাজ করেছেন এবার রাতে কাজ করার ফলে ঘুমাতে পারেননি তারা চিন্তা-ভাবনা করেন সারাদিন ঘুমাবে কিন্তু তাদের এই চিন্তার ফলে শরীরের অনেক ক্ষতি সম্মুখীন হতে পারে । রাতের মত দিনের বেলা ঘুম ভালো হয় না । তাই আপনি যদি রাতে ঘুমিয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য দুপুরের ঘুমটাও হবে উপকারী । 

আর যদি আপনি সারারাত কাজ করে না ঘুমিয়ে কাটিয়ে পরের দিন সারাদিন ঘুমাতে চান তবে এটা অবশ্যই আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে ।

রাতে ঘুমানোর সঠিক সময় কখন | ঘুম থেকে ওঠার সঠিক সময় কখন

একজন পরিণত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ ঘুমাতে হবে তার বেশি ঘুমালে শরীরের জন্য ক্ষতিকর । আবার একজন প্রাপ্তবয়স্কর পরিমিত ঘুমের চেয়ে কম ঘুমালে তাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর । তাই আপনাকে ঘুমানোর এমন একটি সময় নির্ধারণ করতে হবে এবং এমন একটি সময় ঘুম থেকে ওঠার জন্য নির্ধারণ করে রাখতে হবে যার মাঝে আপনি পুরোটা সবাই ঘুমিয়ে কাটাবেন । 

তবে অনেকে আছে সন্ধ্যার সময় বা আটটার দিকে ঘুমিয়ে যায় এতে অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে কারণ রাতে অতি দ্রুত ঘুমানোর শরীরের জন্য ক্ষতিকর । সঠিক সময় হবে আপনার নয়টার সময় ঘুমিয়ে পড়া । এবং সকাল .৪ টার সময় ঘুম থেকে ওঠা । 

আর যদি ঘুমানোর নয়টার সময় সম্ভব না হয় তবে আপনি অবশ্যই দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বেন এবং সকালে উঠবেন পাঁচটার মধ্যে । এই সময়টা ঘুমানোর জন্য একেবারে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সঠিক সময়।

কমপক্ষে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের রয়েছে নির্দিষ্ট ঘুমের তালিকা । আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তবে আপনার ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময় হলো .৮ঘন্টা এর কিছু কম বা বেশি হলেও সমস্যা নেই তবে আপনি যদি ৯ ঘন্টার বেশি ঘুমিয়ে থাকেন এটা কি আপনার অতিরিক্ত ঘুম ধরে নেওয়া হবে আর এর জন্য আপনার হতে পারে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি । 

আবার আপনি যদি ৭ ঘন্টার কম ঘুমিয়ে থাকেন তবে এটাও আপনার জন্য হবে অপরিমিত ঘুম । এই পরিমিত ঘুমের কারণে হতে পারে আপনার বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি । তাই আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন আপনাকে প্রতিদিন অবশ্যই পরিমাণমতো ঘুমাতে হবে।সকলের উচিত পরিমাণ মতো ঘুমানো এবং শরীরকে সুস্থ রাখা।

দিনে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

দিনে ঘুমানোর সঠিক সময় হল দুপুর । আপনি প্রতিদিন দুপুরে ত্রিশ মিনিট থেকে দুই ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমাতে পারেন এটা আপনার জন্য উপকারী হবে । তবে দুপুরে অতিরিক্ত ঘুমানো ঠিক নাই অনেকে আছেন দুপুরে ঘুমায় এবং সন্ধার পরে ঘুম থেকে উঠে এটা মোটেও ঠিক না। অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

অতিরিক্ত ঘুমালে রাত্রে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে না অনিদ্রায় ভুগতে হয় । আর রাতে ঘুম না আসলে অনেক সমস্যা আপনার শরীরের বাসা বাঁধতে পারে । তাই আপনার উচিত হবে প্রতিদিন দুপুরের নিয়ম অনুযায়ী ঘুমানো ।

কোন কোন সময় ঘুমানো উচিত নয়

ঘুমানোর জন্য যেমন রয়েছে আপনার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম তেমনি শরীরচর্চা ও কাজকামের জন্য রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম । আপনি যদি অসময়ে ঘুমিয়ে থাকেন তবে আপনার শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে । সকাল পাঁচটার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে যাওয়া উত্তর । এবং দুপুরে আপনি ১:৩০ টা থেকে ২:০০ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বেন এবং বিকেলে ঘুম থেকে উঠে কিছু খেলাধুলা করা উচিত । 

এরপর সন্ধ্যায় ঘুমানো আপনার জন্য ঠিক হবে না। আবার রাত্রে নয়টার দিকে রাতে ঘুমানোর নিয়ম অনুযায়ী ঘুমিয়ে জান । ঘুমানো সঠিক সময় হল রাত্রে নয়টা থেকে সকাল ৪ টা পর্যন্ত এবং দুপুরে ১:৩০ টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ।

দুপুরে ঘুমালে কি মোটা হয় | দুপুরে ঘুমালে কি ওজন বাড়ে

ওজন বাড়ানোর কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে যেগুলো লক্ষ্য করে চললে ওজন খুব সহজে বাড়ানো সম্ভব । অনেকে মনে করেন দুপুরে ঘুমানোর কারণে ওজন বেড়ে যাচ্ছে । দুপুরের ঘুমানোর কারণে কখনোই ওজন বাড়ে না এটি আপনার ভুল ধারণা । দুপুরে ঘুমানোর পর বিকেলে কিছু এক্সারসাইজ করা প্রয়োজন এটা আপনার শরীর সুস্থ থাকবে । 

ওজন বাড়ানোর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খেয়ে ওজন বাড়াতে হবে । বি আর এম এর চেয়ে অতিরিক্ত বেশি খাবার যদি আপনি খেয়ে থাকেন তবে আপনার অবশ্যই ওজন বেড়ে যাবে আর যদি আপনি এর চেয়ে খুবই কম খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন কমতে শুরু করবে । ওজন বারাসাতে দুপুরের ঘুমের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই ।

দুপুরে ঘুমালে কি ক্ষতি হয় ।| দুপুরে ঘুমানোর অপকারিতা

দুপুরে একজন সুস্থ সবল মানুষের অবশ্যই ঘুমানো উচিত কিন্তু যদি দুপুরে আপনি অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকেন তবে আপনার কিছু অপকরিতা সম্পর্কে এখনই জেনে নেওয়া উচিত । দুপুরে আপনি যে পরিমিত ঘুম রয়েছে তার অতিরিক্ত ঘুম পারলে আপনার শরীরে অনেক ধরনের বাসা বাঁধবে যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে । 

দুপুরে অতিরিক্ত ঘুমালে শরীর ভারি হয়ে যায়। অতিরিক্ত ঘুমানো অভ্যাস হয়ে গেলে পরবর্তীতে অন্যান্য দিন কোন কাজ থাকলে সেই সকল কাজে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না । এছাড়াও শরীরের কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় তাই অতিরিক্ত না ঘুমিয়ে দুপুরে প্রতিদিন পরিমিত ঘুমান এবং বিকেলে উঠে হালকা এক্সারসাইজ করুন।

দুপুরে ঘুমানোর উপায়

ঘুমানোর জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যেগুলো খেয়ে আপনি ঘুম বেশি করতে পারেন। কিন্তু অনেকেই আছে দুপুরে ঘুম আসে না বলে দাবি করে। তারা দুপুরে ঘুমানোর জন্য কিছু টেকনিক অবলম্বন করতে পারেন । দুপুরে খাবার পর হালকা ভাত ঘুম চলে আসে । সেই সময় আপনি ঘুমিয়ে পড়তে পারেন । 

দুপুরে ঘুমানোর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি নিরিবিলি জায়গা কারণ দিনের বেলা মানুষ অনেক কাজকর্মে ব্যস্ত থাকে তাই চারিদিকে গাড়ির হওয়ার সহ বিভিন্ন কাজের শব্দ পাওয়া যেতে পারে এতে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে । তাই দুপুরে ঘুমার সময় একটি নিরিবিরি আরামদায়ক জায়গা নির্বাচন করুন। 

দুপুরে প্রথমে কয়েকদিন ঘুম দেওয়া আসতে পারে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন এক সময় দেখবেন দুপুরে আপনার ঘুমানো অভ্যাস পরিণত হয়ে যাবে।

শিশুদের কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত

একজন প্রাপ্তবয়স্কদের যে ঘুমের তালিকা তার থেকে বেশি ঘুমানো প্রয়োজন হয় একজন শিশুকে । শিশুদের ঘুমানোর খুবই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কারন শিশুরা দ্রুত শারীরিক গঠন এবং শারীরিক বৃদ্ধি পেলে এদের ঘুম খুবই জরুরী বিষয় । তাই আপনার শিশুকে প্রতিদিন পরিমিত ঘুম পারার সুযোগ করে দিন । 

অনেক শিশু আছে যারা অনেক দুষ্টু তারা সঠিক সময়ে ঘুমাতে চায় না তাদেরকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ঘুম পাড়িয়ে দিন প্রতিদিন কারণ তাদের পরিমিত ঘুম না হলে শরীর বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এছাড়া বুদ্ধির বিকাশ ঠিকমত নাও হতে পারে। শিশুদের বয়স অনুযায়ী ঘুমের তালিকা হলো -
  • ৪-১১ মাস              ১২-১৫ ঘণ্টা
  • ১-২ বছর                ১১-১৪ ঘণ্টা
  • ৩-৫ বছর               ১০-১৩ ঘন্টা
  • ১০-১৩ বছর            ৯-১১ ঘন্টা
এই নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন প্রতিটা শিশুর ঘুম পারা উচিত । এরে তারা সুস্থ থাকবে এবং তাদের বুদ্ধির বিকাশ হবে সুন্দর এবং সুষ্ঠুভাবে ।

দুপুরে খাওয়ার পর কি করা উচিত

দুপুরে খাওয়ার পর কিছুটা ভাত ঘুম চলে আসে। এ ঘুম শরীরের জন্য খুবই উপকারী তাই আপনি অন্তত একঘন্টা ভাত ঘুম পেড়ে নিন । এতে আপনার শরীর পুনরায় শক্তি ফিরে পাবে এবং আপনি আবার কাজ করে মজা পাবেন । দুপুরে খাবার পর হুটহাট করে কাজে লেগে যাওয়া উচিত নয়। কারণ দুপুরে মানুষের ক্ষুধা লেগে থাকে বেশি ।

যার ফলে মানুষ বেশি পরিমানে খেয়ে থাকে আপনার কাজের চাপ আছে ঠিক আছে কিন্তু আপনি যদি খাবার পর হুটহাট করে কাজে লেগে যান এতে আপনার বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে তাই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে একটু ভাত ঘুম পেরে তারপরে কাজে লাগবে এতে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং আপনার শরীর থাকবে চঞ্চল ।

রাতে খাবার পর কি করা উচিত

অনেকে আছে যারা রাতে বাইরে ঘোরাঘুরি করেন এমনকি ঘরে বসে টিভি দেখেন ঘোরাঘুরি করা এবং টিভি দেখার ব্যস্ততার কারণে খাবার খাওয়ার সময় পান না । তাই ঘুমানোর আগে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমাতে চলে যান। এতে আপনি ডেকে আছেন আপনার শরীরের জন্য ক্ষতি । তাই খাওয়ার পর সরাসরি না ঘুমিয়ে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করুন । 

কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পরে আপনার শরীরের ভেতরে রক্ত চলাচল সচল হবে এবং আপনার পরিপাকতন্ত্র সচল হবে । হাটাহাটি করার পরে আপনার একটু খাবার হজম হয়ে যাবে এরপর আপনি ঘুমাতে যেতে পারেন। প্রতিদিন একই সময় ঘুমের অভ্যাস করুন এবং একই সময়ে রাতে খাবারের অভ্যাস করুন। অবশ্যই রাতে খাবারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করবেন।

পরামর্শ

আজকে আপনাদের সামনে ঘুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ আলোচনা করেছি এবং এর সাথে যোগ করেছি বেশি ঘুমালে কি হবে এবং কম ঘুমালে কি হবে । উপরের আলোচনা গুলো সম্পূর্ণ বুঝে শুনে পড়ে মেনে চলার চেষ্টা করুন এতে আপনার উপকার । 

এগুলো ছাড়াও যদি আপনি আরো কোন প্রশ্ন জানতে চান তবে আমাদের যোগাযোগ অপশনে গিয়ে আমাদের টিমের সাথে যোগাযোগ করে প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারবেন আমরা সর্বদা আপনার জন্য প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। নিয়মিত ঘুম পারুন নিজেকে সুস্থ রাখুন ।

শেষ কথা

প্রতিদিনের মতোই আপনাকে সুস্থ রাখার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত পরিক্ষিত কিছু বিষয় নিয়ে আপনার সামনে বিস্তারিত আলোচনা করে থাকে আজকেও তার ব্যতিক্রম নাই । আশা করি আপনি মনোযোগ দিয়ে উপরের বিস্তারিত আলোচনা গুলো করেছেন এবং এ থেকে সঠিক ধারণা পেয়েছেন । 

আপনি যদি এখান থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আপনার আশেপাশের সবাইকে উপকৃত করার জন্য আমাদের পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক ও লাইফ স্টাইল সম্বন্ধে যেকোনো নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন টেক২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url