রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম | রাতে ঘুম নাহলে করণীয়

রাতে ঘুম আসে না এমন সমস্যা অনেকের দেখা যায় । অনেক চেষ্টার পরেও তারা রাধে ঘুমাতে পারে না শুধু শরীরের মধ্যে অস্থির অস্থির ভাব চলে আসে । ঘন্টার পর ঘন্টা শুয়ে থাকার পরেও রাতে ঘুম না আসলে যা যা করতে হবে তা সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত ধারনা দিবা আজকে এর আগে আপনাকে জানতে হবে রাতে ঘুম না আসার নামটা কি । রোগ ধরা পড়লে আপনি রাতে ঘুম না হলে কি করনীয়তা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন ।
সারাদিন কাজ করার পর রাতে যদি ঘুম না হয় তাহলে এদের শরীরের উপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে। শরীরের দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যায় এবং শরীরে অনেক ধরনের বাসা বাঁধতে পারে । তাই রাতে ঘুম না হলে অবশ্যই এর করনীয় জেনে আপনাকে সঠিকভাবে ঘুমের ব্যবস্থা করতে হবে । এই নিয়ে আজকে আমাদের আলোচনা।
সূচিপত্র

ভূমিকা রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম | রাতে ঘুম না হলে করণীয়

অনেক সময়ই বদ অভ্যাসের কারণে রাতে ঘুম নাও হতে পারে এমতো অবস্থায় যদি বদ অভ্যাস গুলো ত্যাগ করা যায় তবে আমার আগের মতো স্বাভাবিক সুন্দরভাবে ঘুম চলে আসবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অনেকে আছে যাদের বিভিন্ন রোগের কারণে রাতে ঘুম হয় না । আর এই রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে শরীরের রোগ আরো বেড়ে যায় । 

তাই আপনার যদি রাতে কোন বদ অভ্যাসের কারণে ঘুম না হয়ে থাকে তবে আপনাকে বদ অভ্যাস ত্যাগ করে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে । আবার যদি কোন অসুস্থতার কারণে ঘুম না এসে থাকে তবে আপনাকে অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে হবে তাহলে এমনিতেই ঘুম চলে আসবে । প্রতিদিন রাতে সকল প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সর্বনিম্ন ৮ ঘণ্টা ঘুমানো সর্বোত্তম ।

রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম

অনেকে আছে সারাদিন অনেক খাটাখাটির পরে রাতে যখন ঘুমাতে যান তখন ঘুম ধরে না কিংবা ঘুমানোর চেষ্টা করার পরেও ঘুম আসে না চোখে । এছাড়াও অনেকে আছে ঘুমিয়ে পড়েছেন কিন্তু একটু পর পর বারবার জেগে যাচ্ছেন । ডাক্তাররা সাধারণত এটাকে অনিদ্রা রোগ বলে অবহিত করেন ।একে ইংরেজিতে Insomnia রোগ বলা হয়ে থাকে । 

এই রোগ যে কারো হতে পারে বেশিরভাগ এই রোগ হয়ে থাকে বয়স্ক মানুষের । আপনার যদি এমন রোগ হয়ে থাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।

রাতে ঘুম না হলে করণীয় | ঘুম না আসলে কি কি করা উচিত

রাতে ঘুম না হলে কিছু করোনি রয়েছে যেগুলো করলে আপনার কিছুটা হলেও ঘুম ফিরে আসবে এবং আপনি শান্তি মত ঘুমাতে পারবেন । করনীয় হলো -
  • প্রতিদিন নিয়ম করে এক চামচ মধু পান করা
  • প্রতিদিনে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন
  • দ্রুত ঘুম আসার জন্য কলা খেতে পারেন
  • শসা , টমেটো , আখরোট , বেদানা এমন সকল মেলাটোনিনযুক্ত খাবার খেতে হবে
  • ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে এমন ধরনের খাবার খেতে হবে যেমন ডার্ক চকলেট ।
  • সারাদিনের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে
  • গভীর রাত ভরে ফোন টিপা বন্ধ রাখতে হবে
  • কফি খেলে আপনার ঘুম কম হতে পারে এজন্য কফি অথবা চা খাওয়া বন্ধ করে দিন
  • ঘুমানোর একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করেন এবং সেই একই সময় প্রতিদিন ঘুমাতে যাবেন
  • রাত্রে কাজ না করে দিনে কাজ সেরে ফেলুন

রাতে দেরিতে ঘুমালে কি হয়

অনেকে আছেন যারা সারা রাত জেগে থাকেন আমার অনেকে আছেন কেউ কেউ অধিক রাত পর্যন্ত কাজ করে রাতে দেরিতে ঘুমাতে যাই । এ সকল লোকদের জন্য রয়েছে কঠিন হুঁশিয়ারি । আপনি রাতে ঘুমানোর একটি নির্দিষ্ট সময় করে প্রতিদিন খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন কারণ এর কারণে আপনার শরীরের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারবেন । রাতে দেরিতে ঘুমালে কিছু কঠিন সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন -
  • রাতে দেরিতে ঘুমালে আপনার বিভিন্ন ধরনের যৌ / ন সমস্যা দেখা দিতে পারে এর থেকে হতে পারে কঠিন রোগ ।
  • রাতে দেরিতে ঘুমালে আপনার বুদ্ধি কমে যেতে পারে বা স্মৃতিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে
  • রাতে দেরিতে ঘুমালে আপনার মানসিক অবসআদে ভুগতে হতে পারে
  • ঘুম কম হওয়ার ফলে দীর্ঘস্থায়ী বিভিন্ন রোগ আপনাদের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে
  • পরিমাণ মতো ঘুম না হওয়ার ফলে আপনার মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে

কতদিন না ঘুমালে মানুষ মারা যায়

অনেকে আছে যারা ঘুমের সময় পায় না আবার অনেকে আছে ঘুম থেকে উঠতে পারে না । এর জন্য তুমি ক্ষতিকর হতে পারে আপনি যদি না ঘুমিয়ে থাকেন এটা আপনার শরীরের জন্য ক্লান্তিকর এবং ধীরে ধীরে আপনার শরীর হয়ে যেতে পারে আকেজো । এবং আপনি যদি অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকেন তবে ধীরে ধীরে আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে পারে । 

তাই প্রতিদিন পরিবারের মত ঘুমানো উচিত । আপনি যদি অনেকদিন যাবত একটানা না ঘুমিয়ে থাকেন তবে আপনার মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে । সাধারণ একজন মানুষ যদি টানা দশ দিন যদি নির্ঘুম কাটাই তবে তার শরীরে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সমস্যা এ সমস্যা থেকেই তার মৃত্যু হতে পারে ।

কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়

ঘুম সাধারণ মানুষের জন্য খুবই উপকারী একটি বিষয় যা শরীরের সকল গ্যারান্টি ভাব দূর করে শরীরকে নতুন ভাবে চাঙ্গা করে । সঠিকভাবে ঘুম না হলে সারাদিন সঠিকভাবে কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হয় না । এর জন্য হবে আপনাকে সঠিক খাবারটি বেছে নিতে হবে কারণ খাবারের উপর নির্ধারণ করে অনেক সময় নির্ধারিত হয় ঘুমের পরিমাণ । 

এজন্য আপনাকে বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে । ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে এর জন্য আপনার ঘুম কম হতে পারে ।

রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমালে কি ক্ষতি হয়

ঘুমের জন্য সঠিক সময় হলো রাত । চারিদিকে নিশ্চুপ নিস্তব্ধ পরিবেশে ঘুমালে আপনার ঘুমটা হবে গভীর এবং ভালো। এই ঘুমটা আপনার শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে । কিন্তু অনেকেই আছেন যারা রাত্রে কাজ করে কিংবা অফিসে ডিউটি করেন রাতে আর দিনে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নেন কিন্তু রাতের মত গভীরভাবে দিনে ঘুমাতে পারেন না । 

রাতে ঘুমিয়ে যারা সারাদিন কাজ করেন তাদের তুলনায় যারা দিনে ঘুমিয়ে রাতে কাজ করে তাদের ঝুঁকি বেশি । রাতে কাজ করে দিনে ঘুমানোর ফলে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে এছাড়া অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে আপনার শরীরে। যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে -
  • হৃদরোগ
  • স্থুলতা বেড়ে যেতে পারে
  • অধিক পরিমাণে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে
  • ডায়াবেটিকস
  • এছাড়াও আরেক ধরনের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ।
  • এক মিনিটে ঘুম আসার উপায় | কিভাবে তাড়াতাড়ি ঘুমানো যায়
  • মাথা থেকে সকল দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে দিন
  • দ্রুত ঘুমানোর জন্য আপনি গরম এক গ্লাস দুধ পান করতে পারেন
  • ঘুমানোর আগে মরি স্থির করে হালকা ধ্যান করে নিন
  • ঘুমানোর আগে ঘুমের দোয়া পাঠ করে নিন
  • ঘুমানোর সময় ডাণ কাত হয়ে ঘুম আরম্ভ করুন

রাতে ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয় 

রাতে না ঘুমালে শরীরে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা । এ সকল সমস্যা থেকে মুক্ত পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন রাতে পরিমাণ মত ঘুমাতে হবে । সুস্থ থাকা অবস্থায় শরীরের যত্ন রাখতে হবে এজন্য আপনার উচিত রাতে ঘুমানো এবং দিনে আপনার কাজ করা । রাতে ঘুম না হলে অনেক সমস্যা হতে পারে যেমন-
  • রাতে ঘুম না হলে আপনার মস্তিষ্কের শক্তি কমে যেতে পারে
  • শরীরে ক্লান্তি ভাব চলে আসতে পারে
  • বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে
  • শরীরে শুকিয়ে যেতে পারে
  • চোখের নিচে কালি হয়ে যেতে পারে
  • রাতে ঘুম না হলে পরের দিন সারাদিন চোখে ঝিম ধরে থাকতে পারে
  • এছাড়াও ঘুম না হলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

ঘুম বৃদ্ধির উপায়

  • ঘুম বৃদ্ধির জন্য আপনি প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন
  • প্রতিদিন নিয়ম করে টক দই খেতে পারেন
  • ঘুমানোর আগে শরীর স্থির এবং মাথা স্থির করে রাখুন
  • মন থেকে সকল দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে দিন
  • ঘুমানোর আগে দোয়া পড়ে ঘুমাবেন
  • ঘুমানোর স্থান যেন আরামদায়ক হয় সেটিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন
  • ঘুমানোর আগে ঘরে লাল রঙের বাল্ব জ্বালিয়ে রাখুন
  • সারাদিনের খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টিকর খাদ্য রাখুন
  • ভরপুর পেট খেয়ে ঘুমাতে যাবেন না
  • ঘুমানোর আগে হালকা মেডিটেশন করে নিন
  • প্রতিদিন ঘুমের ওষুধ সেবন করা বাদ দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে
  • এছাড়াও আরো অনেক ঘুম বৃদ্ধি করা সম্ভব যেমন শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি অর্জনের মাধ্যমে ঘুমের সময় বাড়ানো যায় ।

রাতে ঘুম আসে না কেন

রাতে ঘুম না আসার মধ্যে অনেকগুলো কারণ রয়েছে তার মধ্যে কিছু কমন বিষয় রয়েছে যেগুলো প্রায় মানুষের মধ্যেই পরিলক্ষিত । এ সকল স্বাভাবিক বিষয় নিয়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে এবং রাতে ঘুমানোর জন্য রাতের ঘুমের নিয়ম মেনে চলতে হবে। ঘুম আসার কয়েকটি কারণ হলো -
  • শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব।
  • শারীরিক ও মানসিক অশান্তি
  • দুশ্চিন্তা
  • ঘুমের ওষুধ সেবন করা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেলে ওষুধ না খেলে ঘুমানো সম্ভব হয় না
  • ঘুমের জায়গায় আরামদায়ক না হওয়া
  • দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুমানো
  • ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন না থাকা
  • প্রতিদিন একই সময়ে না ঘুমিয়ে যাওয়া প্রতিদিন একেক দিন একেক সময় ঘুমাতে যাওয়া
  • দোয়া না পড়ে ঘুমানোর কারণে ঘুম ব্যাঘাত করতে পারে

কি খেলে রাতে ঘুম আসে না

কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আপনার পরিমিত ঘুম ভালো হবে । আবার এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাবার পরে শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় যার ফলে আপনার সঠিক ভাবে ঘুম নাও হতে পারে । যেসব খাবারে কারণে ঘুম নাও হতে পারে যেমন -
  • টমেটো
  • বেগুন
  • নেশা দ্রব্য
  • ভর পেট খাওয়া
  • ভারি খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাওয়ার ফলে রাতে ঘুম আসে না
  • অ্যামিনো অ্যাসিডযুক্ত খাবার খেলে
এছাড়াও বিভিন্ন নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে যেগুলো কারণে রাতে ঘুম নাও হতে পারে ।

ঘুম বৃদ্ধির খাবার

কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে যার মাধ্যমে ঘুম করা যায় । এছাড়াও কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যেগুলো খাবার ফলে ঘুম স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে । আপনার যদি রাতে সঠিকভাবে ঘুম না হয় আপনি যদি ঘুম বৃদ্ধি করতে চান তবে এই সকল খাবার গুলো খেতে পারেন ।এ খাবারগুলো আপনার শরীরে ঘুমের সাথে সাথে শরীরে ক্লান্তি দূর করবে আপনার শরীর অনেক সুস্থ সুন্দর সবল । যাদের ঘুম আসেনা তাদের জন্য যে সকল খাবারগুলো খাওয়া প্রয়োজন-
  • ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার ডিম । ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি । তাই ঘুম বৃদ্ধির জন্য আপনি প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারেন ।
  • ঘুম বৃদ্ধির অন্যতম একটি খাবার হল মিষ্টি আলু । ঘুম বৃদ্ধি করার জন্য মিষ্টি আলুর সর্বোত্তম কাজ করে । তাই আপনি যদি ঘুমিয়ে করতে চান তবে মিষ্টি আরো প্রতিদিন খেতে পারেন । এতে আপনার ঘুম বৃদ্ধি পাবে বহুগুনে ।
  • ঘুম বৃদ্ধির জন্য একটি আদর্শ খাবার হল গরম দুধ । আপনি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করে নেন এতে আপনার ঘুম অধিক পরিমাণে বেড়ে যাবে ।
  • প্রতিদিন ঘুম বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে খাবার তালিকায় রাখতে হবে পরিমাণ মতো শাকসবজি। ঘুম বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী খাবার শাকসবজি ।
  • এছাড়াও কিছু ফলমূল রয়েছে যেগুলো খাবার ফলে আপনার ঘুম বৃদ্ধি পেতে পারে যেমন বাদাম , আখরোট , ইত্যাদি

প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম বৃদ্ধির উপায়

কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যেগুলো খাবার ফলে আপনার ঘুম অধিক গুনে বৃদ্ধি পেতে পারে । এছাড়া কিছু নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার ঘুম দ্বিগুণ আকার বৃদ্ধি করতে পারবেন । তবে এটি প্রতিদিন আপনাকে নিয়ম মেনে করতে হবে আপনি যদি অনিয়ম ভাবে করেন তাহলে প্রাকৃতিক উপায় কাজ করবে না । 

কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যেগুলো আপনি ঝটপট করে ফেলতে পারেন । এসব প্রাকৃতিক উপায় গুলো হলো -
  • প্রতিদিন নিয়ম করে মেডিটেশন করা
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘুমের দোয়া পড়ে ঘুমানো
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে মরে স্থির করে নেওয়া
  • ডান কাত হয়ে ডান হাত মাথার নিচে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়া
  • প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যাওয়া
  • মনের সকল দুশ্চিন্তা দূর করে ফেলা ইত্যাদি ।

ভালো ঘুমের সিরাপ

কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যেগুলো খেয়ে ঘুম বাড়ানো যায় আবার কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ঘুম বৃদ্ধি করা যায় । অনেকের রয়েছে যারা প্রতিদিন ঘুমানোর সময় ঘুম আসে না কিংবা বারবার ঘুম ভেঙ্গে যায় । তারা আজ পর্যন্ত অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন কিন্তু কোন পদ্ধতি কাজে লাগেনি । 

আপনি হয়তো প্রতিদিন ঘুমের ওষুধ খেয়েও কিছুদিন নিয়ম করে ঘুমিয়েছেন কিন্তু এখন আর কাজ করে না এই ওষুধ । তাদের জন্য Noctura Syrup খুবই ভালো কাজ করতে পারে । তবে এটি আপনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন না কারণ সবার শরীরে এটি কাজ নাও করতে পারে ।

ঘুম আসার ব্যায়াম

ঘুম না আসার জন্য একটি ব্যায়াম খুবই জনপ্রিয় তার নাম হলো অ্যারোবিক ব্যাম। এ ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন ঘুমের মাত্রা অধিক ঘুরে বাড়িয়ে নিতে পারেন। এ ব্যায়াম করলে আপনার শরীরের মধ্যে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় রিলিজ পর্যন্ত বেড়ে যায় এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম ঝরে যায়। 

এ সকল কারণে আপনার প্রতিদিনের ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যেতে থাকে । আপনি যদি অনিদ্রায় থাকেন তবে বসে না থেকে আপনার ব্যায়াম করা উচিত । এই ব্যায়ামগুলো খুবই সহজ এবং সহজলভ্য এটা কোন ব্যয় করার প্রয়োজন হয় না তাই যে কেউ যেকোনো সময় করতে পারেন । কিছু এক্সারসাইজ রয়েছে যেগুলো আপনি প্রতিদিন করতে পারেন ।

যেমন সাইকেলিং , দরি লাফানো , নৃত্য করা , মধ্যম গতিতে হাটা , পুকুরে সাঁতার কাটা সব বিভিন্ন কাজকামের মধ্যেও আপনি ব্যায়াম করে নিতে পারেন ।

পরামর্শ

আপনার যদি ঘুম না এসে থাকে তবে আমাদের উপরে দেখানো যে সকল বিস্তারিত আলোচনা এতক্ষণ ধরে পড়েছেন সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করুন অবশ্যই আপনি ঘুমাতে সক্ষম হবেন। এমনকি বেশি ঘুম হলেও আপনি পরিমাণ মতো ঘুমাতে সক্ষম হবেন । 

আপনার যদি বেশি ঘুম হয়ে থাকে তবে পরিমাণ মতো ঘুমের জন্য যে কাজগুলো আমাদের এখানেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করে পরিমাণ মতো ঘুমান । এছাড়াও আপনার আরও বেশি সমস্যা দেখা দিলে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন ।

শেষ কথা

আপনি যদি আমাদের পোস্টটি পুরোপুরি পড়ে থাকেন এতক্ষণে আপনি অনেক বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা লাভ করেছেন । এ বিষয়গুলো থেকে আপনি বেশি ঘুম থেকে কম ঘুমের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পরিমাণমতো ঘুমের উপায় এবং পদ্ধতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করবেন ।

এখান থেকে যদি আপনি একটু উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আপনার আশেপাশের বন্ধু বান্ধবীদের কাছে এটা শেয়ার করে দিন এবং নতুন নতুন আরো স্বাস্থ্য কৃষি লাইফ স্টাইল সম্পর্কে পোস্ট পেতে আমাদের পেজটিতে সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন টেক২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url