সকালের নাস্তার রেসিপি | সকালের নাস্তা তালিকা | স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা

সকালের নাস্তা তৈরি করতে গিয়ে বর্তমানে অনেকে অনেক চিন্তায় পড়ে যায়। সঠিকভাবে বুঝতে পারেন নাই সকালে কি খাওয়া উচিত কি খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। এবং সবাই চায় খুব কম সময়ে ঝটপট কিছু নাস্তা তৈরি করে নিতে । সকালে নাস্তার কিছু তালিকা করে রেখেছি আপনার জন্য আপনি এই তালিকা অনুযায়ী প্রতিদিন নিত্য নতুন সাধের নাস্তা তৈরি করতে পারবেন। আমাদের তালিকার অন্তর্ভুক্ত সকল রাস্তা গুলো আপনার জন্য হবে স্বাস্থ্যকর ও রুচি সম্মত।
সকালে একজন মানুষের অবশ্যই স্বাস্থ্যকর নাস্তা খাওয়া প্রয়োজন কারণ সারাদিনের কাজকর্মের মধ্যে যেন কোন ক্লান্তি ভাব না আসে এটি নির্ভর করে সকালের নাস্তার উপর। সকালের নাস্তা যদি সঠিক হয় তবে সারাদিন শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে এটাই কাজ করবে মনোযোগ বসে বেশি। আজকে আপনাকে সকালের নাস্তা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেবো ।
সূচিপত্র

ভূমিকা সকালের নাস্তার রেসিপি | সকালের নাস্তা তালিকা | স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা

সকালে কিছু নাস্তা রয়েছে সেগুলো তৈরি করা খুব সহজ কিন্তু আপনি এটি জানেন না। এ বিষয়ে আপনাকে সুন্দর একটি তালিকা উপস্থাপন করে দেওয়া আজকে। আজকে সকালের নাস্তার তালিকা দেখে আপনি প্রতিদিন নিত্য নতুন বিভিন্ন স্বাদের সকালের নাস্তা তৈরি করতে পারবেন । আজকে নাস্তার মধ্যে সকল রাস্তাগুলোই স্বাস্থ্যকর। 

তাই আপনি নিশ্চিন্তে এসব নাস্তা আপনার সন্তান কিংবা পরিবারের যে কারো জন্য তৈরি করে পরিবেশন করতে পারবেন । চলুন জেনে নেওয়া যাক সকালে নাস্তা সম্পর্কে।

সকালে নাস্তার উপকারিতা

বর্তমানে যারা সকালে নাস্তা করে তাদের থেকে যারা নাস্তা করে না তাদের তুলনামূলক শরীর অসুস্থ থাকে বেশি। সকালে নাস্তা করলে শরীরটাকে সুস্থ সবল এবং শক্তিশালী। সকালের নাস্তার উপর প্রভাব পড়ে সারাদিনের ব্যস্ততার । আপনি সারাদিন যে খাটাখাটনি করছেন এর জন্য আপনার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি এবং শক্তি ক্ষয় হচ্ছে। 

সকালে সঠিকভাবে নাস্তার মাধ্যমে এই শক্তির যোগার পাওয়া খুবই সহজ । সকালে নাস্তাটি অবশ্যই পুষ্টিকর হতে হবে । পুষ্টিকর নাস্তা করার ফলে শরীরের সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে সারাদিন কাজ করা সম্ভব হয়।

সকালের নাস্তা কি হওয়া উচিত

রাত্রে ঘুম থেকে ওঠার পর কাজে যাওয়ার চিন্তায় সকালের নাস্তা বানানো হয়ে ওঠেনা । তাই অনেকেই না খেয়েই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় । এর ফলে শরীর দুর্বল সহ অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু আপনার সকালের নাস্তা কেমন হওয়া উচিত সেটা হয়তো আপনার জানা নেই । 

সকালের নাস্তা এমন হতে হবে যেন সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে শরীর থেকে যে পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয় তার ঘাটতি পূরণ হতে পারে । এর জন্য আপনাকে সকালের নাস্তায় অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে । ভাগ সবজি ডিম এসব দিয়ে আপনাকে সকালের নাস্তা তৈরি করতে হবে। 

সকালের নাস্তা যদি পুষ্টিকর হয় তবে আপনি খুব সহজে সারাদিনের কাজ ক্লান্তিহীনভাবে করে যেতে পারবেন । তাই আপনার জন্য কয়েকটি পুষ্টিকর খাবারের রেসিপি আমাদের এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে । আপনি খুব সহজে পুষ্টিকর নাস্তাগুলো তৈরি করে আপনার শরীরকে পরিপূর্ণ ক্যালোরি ও পোস্টটি উপাদান যোগাতে পারবেন ।

সকালে নাস্তার তালিকা | স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা

  • খিচুড়ি
  • ওটস
  • দুধ-রুটি
  • ফলের পিউরি
  • সুজি হালুয়া
  • নুডুলস
  • সবজি রুটি
  • বাদাম ও খেজুর
  • ব্রেড পিজ্জা
  • পিনাট বাটার জ্যাম স্যান্ডউইচ
  • দুইটি কলা সাথে এক গ্লাস দুধ
  • দই ফল
  • দই চিড়া কলা
  • বাঁধাকপি ভাজি
  • ওটসের অমলেট
  • চিরার পোলাও ইত্যাদি ।

বাচ্চাদের সকালে নাস্তা রেসিপি

বর্তমানে সকলের অভিযোগ তাদের বাচ্চা ঠিকমতো খাবার খেতে চায়না । খাবারের কথা শুনলে দৌড়ে পালায় । বাচ্চার পেছনে দৌড়ে দৌড়ে খাবার খাওয়াতে হয় কিন্তু পেট ভরে বাচ্চা খাবার খায় না একবারও। তাদের জন্য কিছু রেসিপি নিয়ে আসলাম যা আপনার সন্তান অবশ্যই পছন্দ করবে । এই খাবারগুলো সন্তানের জন্য খুবই উপকারী এবং স্বাস্থ্যকর । সেগুলো হল

খিচুড়ি - বাচ্চারা সাধারণত নরম জিনিস খেতে বেশি পছন্দ করে তাই আপনি যদি বাচ্চাদের জন্য নরম করে খিচুড়ি বানিয়ে দেন তাহলে খুব সহজেই খেয়ে ফেলতে পারবে । খিচুড়িতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে । খিচুড়ি খাওয়ার মাধ্যমে আপনার সন্তান আমি সুস্থ এবং শক্তিশালী । প্রতিদিন সকালে যদি সন্তানকে ভর পেট খিচুড়ি খাওয়াতে পারেন সারাদিন সে থাকবে চঞ্চল ও কর্মঠ ।

ওটস - এটিও আপনার সন্তানের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার । এর সাথে আপনি কলা দিতে পারেন এছাড়াও আপনি কলার পরিবর্তে ডিম ব্যবহার করতে পারবেন । দুধের মধ্যে ওটস দিয়ে পাঁচ মিনিট চুলায় জ্বাল করুন । যেহেতু এটি আপনার বাচ্চা খাবে তাই বাচ্চার জন্য মিষ্টি করার জন্য এতে মধু দিয়ে দিলে আরো ভালো হবে ।

দুধ-রুটি - সাধারণত বাচ্চারা দুধ খেতে বেশি পছন্দ করে এর সাথে যদি আপনি রুটি এড করে দেন তবে তারা খেয়ে ফেলবে । তাই আপনাকে কৌশলে দুধের সাথে রুটি ভিজিয়ে নরম করে বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে ।

ফলের পিউরি - একেবারে খালি পেটে ফল খাওয়া ক্ষতিকর এটি আমরা সকলেই জানি । তাই অবশ্যই আপনার বাচ্চাকে এই খাবারটি খালি পেটে দিবেন না এটি আপনি অন্যান্য খাবারের সাথে অ্যাড করে দিতে পারেন ।

সুজি হালুয়া - সুজি দিয়ে আপনি খুব সহজে হালুয়া তৈরি করতে পারবেন যা আপনার বাচ্চার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার ।

নুডুলস - সকল বাচ্চাদের অতি প্রিয় খাবার হল নুডুলস । বাচ্চারা অন্য কোন খাবারের নাম না জানলেও নুডুলসের নাম জানে । অনেকে আছে ইচ্ছাকৃতভাবে এ খাবার খেতে চাই আবার কিছু কিছু বাচ্চা আছে অল্প খাওয়ার পর আর খেতে চায় না । তাই আপনার বাচ্চাকে এটি খাওয়ার যোগ্য করে তোলার জন্য আপনি এতে কিছু সবজি অ্যাড করতে পারেন এতে অতিরিক্ত কোন মসলা যোগ করার প্রয়োজন নেই এটা আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে ।

সবজি রুটি - যেসকল বাচ্চাদের দাঁত উঠে গেছে তারা খুব সহজেই রুটি খেতে পারে । তাদের জন্য একটি খুবই পুষ্টিকর খাবার হল সবজি দিয়ে রুটি খাওয়া । সকালের নাস্তায় আপনার বাচ্চাকে সবজি দিয়ে রুটি খেতে দিন ।

খেজুর - খেজুর আপনার বাচ্চার বুদ্ধির বিকাশে সহায়তা করবে এবং শরীরের বিকাশের সহায়তা করবে তাই প্রতিদিন আপনার বাচ্চাকে কয়েকটি করে খেজুর খাওয়াতে পারেন ।

বাদাম- বাদাম খেলে বুদ্ধি বাড়ে এটা সবাই জানে কিন্তু অনেক বাচ্চারা আছে যাদের মা-বাবা বাদাম খেতে দেয় না এতে তারা বঞ্চিত হয় । প্রতিদিন সকালে আপনার বাচ্চাকে কিছু পরিমাণ বাদাম খেতে দিন ।

সকালের সহজ নাস্তা রেসিপি

সকালে নাস্তা বানানো সরকারের কাছে একটি খুবই বিরক্তিকর ব্যবহার কারণ সকালে কাজ শুরুর আগে রাস্তা বানিয়ে সময় নষ্ট করার জন্য কারো কাছে সময় থাকে না । সময় নষ্ট না করার জন্য অনেকে আছে না খেয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে এটা তাদের নানা ধরনের সময় পড়তে হয় এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতে হয় । 

তাদের জন্য আজকে কয়েকটি সহজ ঝটপট রেসিপি কথা উল্লেখ করব যেগুলো আপনি খুব সহজে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে বানিয়ে দিতে পারবেন। সেগুলো হলো-

ব্রেড পিজ্জা- ব্রেড পিজ্জা বানানো খুবই সহজ এবং খুবই কম উপকরণের মাধ্যমে আপনি ঝটপট বানিয়ে নিতে পারবেন । প্রথমে লাগবে ব্রেড এর ওপরে আপনি কিছু সবজি কুচি দিয়ে দিয়েন। তার উপরে আবার আরেকটি ব্রেড দিন এবার এর উপরে মাখিয়ে দে টমেটো সস । টমেটো সস মাখানো হলে এর ওপর আরেকটি ব্রেড দিয়ে দিন। 

এর ওপর আপনি কিছু গোলমরিচের গুড়া এবং এর সাথে বিট লবণ ছিটিয়ে দিতে পারেন । এবার এটি ওভেনের মধ্যে পাঁচ মিনিট রেখে দিন। ৫ মিনিট হয়ে গেলে বের করে খেয়ে নিতে পারবেন ।

দুইটি কলা সাথে এক গ্লাস দুধ - সময়ের স্বল্পতার কারণে যারা সকালের নাস্তা বানাতে পারেন না তাদের জন্য এই খাবারটি খুবই কার্যকরী । এটি আপনার সারাদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে। একেবারেই নাখেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার থেকে আপনি দুইটি কলা সাথে এক গ্লাস দুধ পান করতে পারেন ।

পিনাট বাটার জ্যাম স্যান্ডউইচ - খুবই ঝটপট খাওয়ার জন্য এই খাবারটি অত্যন্ত জনপ্রিয় । আপনি একটি ব্রেডের উপর কমলার জ্যাম লাগিয়ে দিতে পারেন অথবা এর বিকল্প হিসেবে আপনি স্ট্রবেরি জ্যাম লাগিয়ে নিতে পারেন , লাগানো হয়ে গেলে এর ওপর আপনি আরেকটা ব্রেড দিয়ে তার ওপরে লাগাতে পারেন পিনাট বাটার । লাগানো হলে তার উপর আরেকটি ব্রেড দিয়ে দিন । এইবার ঝটপট খেয়ে নিন ।

দই ফল - সকালে কম সময়ের মধ্যে পুষ্টিকর খাবারের একটি উন্নতম খাবার হল দই ফল । আপনি বিভিন্ন রকম ফলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন দই । অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হিসেবে এটি পরিচিত । মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনি আপনার সকালে নাস্তা সেরে ফেলতে পারবেন দুই ফল খেয়ে।

দই চিড়া কলা - তবে আপনাকে চিড়া গুলো ভিজিয়ে দিতে হবে পানিতে । পাঁচ থেকে ছয় মিনিট চিড়া গুলো ভিজিয়ে রাখার পর পানি থেকে চিপে চিপে চিরা গুলো তুলে নিন । এবার এর সাথে দই আর কলা দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন । এতে আপনি কিছু পরিবার লবন মিশাতে পারেন । খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর মজাদার একটি খাবার হল দই চিড়া কলা। সকালে নাস্তার জন্য এটি খুবই পছন্দনীয় খাবার।

সকালের নাস্তা সবজি রেসিপি | গ্যাস্ট্রিক রোগীর সকালের নাস্তা রেসিপি

সকালের নাস্তায় অনেকে আছে যারা সবজি খাওয়া পছন্দ করেণ । কিন্তু প্রতিদিন একই খাবার খেতে খেতে অনিয়া সৃষ্টি হয়ে গেছে। তাদের জন্য আজকের নতুন করে একটি রেসিপি দেখাবো রেসিপিটি হল বাঁধাকপি ভাজি রেসিপি । বাঁধাকপি ভাজি করে আপনি খালি খেতে পারবেন এতে আপনার অনেক পরিচিত জায়গা পূরণ হবে শরীরে শক্তি ফিরে পাবেণ । 

বাঁধাকপি ভাজি করে আপনি পরোটা দিয়েও খেতে পারবেন। ভাজি করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু উপকরণ প্রয়োজন। নিচে বাঁধাকপি ভাজি উপকরণ এবং তৈরি পদ্ধতি দেখানো হলো-

বাঁধাকপি ভাজি উপকরণ

১.৫kg বাঁধা কপি , দুইটা মাঝারি সাইজের আলু , আধা চামচ আদা বাটা , আধা টেবিল চা চামচ জিরা বাটা , এক চামচের তিন ভাগের এক ভাগ গোটা জিরা , এক চামচ ধনেগুরা , আধা চামচ হলুদ গুড়া (অপশনাল) , দুই চা চামচ পেঁয়াজ কুচি , তিনটা কাঁচা মরিচ , দুই টেবিল চা চামচ তেল , লবণ , এক চিমটি চিনি ।

বাঁধাকপি ভাজি পদ্ধতি

প্রথমে বাঁধাকপি গুলো ভালোভাবে ধুয়ে দিতে হবে যাতে এটা কোন ধরনের জীবাণু বা ময়লা অথবা পোকামাকড় না থাকে । এবার একটি কড়ায় তেল ফুটিয়ে নিন এর মধ্যে জিরার ফরণ দিয়ে একটু নারুন। জিরা যখন দেখবেন ভাজা ভাজা হয়ে গেছে তখনই এর উপর দিবেন পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ। 

আবার ভাজতে থাকুন এই যে বাদামী রঙ চলে আসলে এর মধ্যে কুচি করা বাঁধাকপি গুলো সকল মসলাগুলো একসাথে করে ঢেলে দিন এবার একটু নাড়তে থাকউন । কিছুক্ষণ নাড়ার পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন প্রায় মিনিট । এর মাঝে মাঝে কয়েকবার ঢাকনা তুলে এখন একটু নেরেচেরে দিবেন । 

এবং শেষের দিকে চুলার একটু ভোল্ট কমিয়ে দিন এবং এতে দিয়ে দিন ধনেপাতা কুচি । এভাবেই খুব সহজে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করতে পারবেন বাঁধাকপি ভাজি।

ঝটপট সকালের নাস্তা রেসিপি | কম খরচে সকালে নাস্তার রেসিপি

সকালে সব থেকে বিরক্তিকার কাজ হলো সকালের রাস্তা তৈরি করা । অনেকে নাস্তা তৈরি করার হয়ে সকালে না খেয়ে থাকেন এতে আপনার অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে তাই কিছু ঝটপট নাস্তা তৈরির রেসিপি আপনাকে জানিয়ে দেবো যার মাধ্যমে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে ঝটপট রাস্তা তৈরি করতে পারবে । আজকের ঝটপট সকালের নাস্তা রেসিপির মধ্যে রয়েছে ওটসের অমলেট ও চিরার পোলাও।

ওটসের অমলেট তৈরীর উপকরণ

  • আধাকাপ ওটস
  • এক কাপ পেঁয়াজ কুচি
  • দুইটা ডিম
  • চারটা মরিচ কচি
  • ধনেপাতা ও টমেটো কুচি
  • লবন
  • অলিভ অয়েল ভাজার জন্য

টসের অমলেট তৈরীর পদ্ধতি

  • ডিমটি একটি পাত্র রেখে ফেটিয়ে নিন
  • ডিম ফেটিয়ে নেওয়ার পর এর ভেতরে ওটস দিন
  • অন্যদিকে উপরে দেখানো উপকরণগুলো একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন
  • এবার একটি কড়াইয়ে তেল ফুটিয়ে দিন
  • তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে ফেটানো ডিমটি ঢেলে দিন এবং কিছুক্ষণ ঢেকে রাখউন ।
  • এপাশ ওপাশ করে দুই পাশেই ডিমটি ভেজে নিন
  • ভাজা হয়ে গেলে তুলে ফেলুন
  • এবার আপনার পছন্দের সাইজ অনুযায়ী কেটে পরিবেশন করতে পারেন ।

চিরার পোলাও তৈরির উপকরণ

  • এক কাপ চিড়া
  • গাজর
  • মটরশুটি
  • মুরগির সিদ্ধ মাংস
  • পেঁয়াজ আধা কাপ
  • ধনেপাতা কুচি আধা কাপ
  • দুইটি ডিম
  • আধা চামচ আদা কুচি
  • রসুন কুচি
  • গোলমরিচ
  • হলুদ
  • জিরা আধা চামচ
  • লেবুর রস
  • অলিভ অয়েল দুই চামচ
  • কাঁচামরিচ কুচি
  • লবণ

চিরার পোলাও তৈরির পদ্ধতি

  • একটি প্যানে তেল গরম করে রাখুন
  • ডিমের মধ্যে লবণ দিয়ে ফেটিয়ে নিন
  • এবার ডিম থেকে ভেজে ঝুড়ি ঝুড়ি করে ফেলুন
  • এবার ঝুড়িঝুড়ি করা ডিম গুলো আলাদা এক জায়গায় তুলে রাখুন
  • প্যানে আবার তেল ঢেলে দিন
  • আদা পেঁয়াজ রসুন কুচি এবং এর সাথে দিতে হবে জিরা
  • এবার একটু নাড়তে থাকো, দেখবেন সুগন্ধ চলে এসেছে
  • এরপর এর মধ্যে সবজি ও মাংস সেদ্ধ দিয়ে দিন
  • কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন
  • অন্যদিকে চিড়া কিছুক্ষণ ভিজিয়ে ভালোভাবে পানি থেকে তুলে ফেলুন
  • ডিমের হয়ে গেল এর ভিতর দিয়ে দিন এর সাথে দিতে পারেন একটু হলুদ
  • সবগুলো প্যানে দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন ১০ মিনিট নাড়ার পর নামানো উচিত
  • নামানোর সময় ধনের পাতা কুচি গোল মরিচ গুঁড়া এবং লেবুর রস দিতে পারে
  • এবার পরিবেশ করুন ।

পরামর্শ

সকালে না খেয়ে থাকলে যে অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে এটা অনেকেরই অজানা । সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই কিছু না কিছু খেয়ে বের হবেন। সকালে না খেয়ে বের হলে শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে পারে এবং সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয় না । সকালে না খেয়ে বের হলে সারাদিন কাজে মনোযোগ বসেনা এবং শরীরের শক্তি পাওয়া যায় না । তাই অবশ্যই সকালে আমাদের দেওয়া রেসিপিগুলো ট্রাই করে দেখবেন ।

শেষ কথা

আমরা উপরে খুবই অল্প মূল্যে স্বাস্থ্যকর এবং খুবই সময় কম অপচয় করে সকালে তৈরি করা যায় এমন কয়েকটি পুষ্টিকর নাস্তার রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করেছি আশা করি অবশ্যই আপনার উপকারে আসবে। আপনি উপকৃত হয়ে থাকলে অন্যদেরকেও এই রেসিপিগুলো শেয়ার করে দিতে পারেন । 

আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পন্থায় বিশ্বের সেরা রাধুনীর কাছ থেকে নতুন নতুন রেসিপি সংগ্রহ করে থাকি এবং তা আপনাদের জন্য পাবলিশ করে থাকি তাই এ সকল তথ্য পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন টেক২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url