তেল ছাড়া নাস্তা রেসিপি | মেদ কমাতে নাস্তা রেসিপি জানুন
অতিরিক্ত তেল খেলে শরীরে চর্বি জমে যায় এরপরে হতে পারে ডায়াবেটিসের মতো বিভিন্ন মারাত্মক রোগ। তাই সব সময় এসব রোগ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিদিন কি খাবার খাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনার শরীরের সুস্থতা । তাই আপনাকে প্রতিদিন সকাল বিকাল এমন কিছু নাস্তার অভ্যাস করতে হবে যাতে তেলের প্রয়োজন হয় না । আমাদের আজকের আলোচনা তেল ছাড়া নাস্তা রেসিপি নিয়ে ।
আমরা আজকে কয়েকটি রেসিপি নিয়ে আলোচনা করেছি যা আপনি তৈরি করতে পারবেন তেল ছাড়া । আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন যে সকল নিষিদ্ধ খাবার রয়েছে সেগুলো পরিহার করতে হবে । আমাদের আজকের রেসিপি আপনার শরীর থেকে চর্বি ঝরাতে সাহায্য করবে ।এতে আপনি ভালো থাকবেন।সূচিপত্র
ভূমিকা তেল ছাড়া নাস্তা রেসিপি | মেদ কমাতে নাস্তা রেসিপি
অতিরিক্ত তেল মানুষের শরীরে ক্ষতি করতে পারে তাই আপনাকে মেনে চলতে হবে খাবারের কিছু নিয়ম কানুন। আপনি যদি সকাল বিকাল তেল ছাড়া নাস্তা করেন তবে আপনার শরীর থাকবে সুস্থ এবং সবল । তেল ছাড়াও কিছু অসাধারণ রেসিপি রয়েছে যেগুলো আপনি ঝটপট বানিয়ে নিতে পারবেন খুব কম সময়ে এবং খুবই অল্প খরচে ।
তেল ছাড়া রেসিপিগুলো আপনার অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি কমাতে সাহায্য করবে ।
তেল ছাড়া সকালে নাস্তা রেসিপি
তেল ছাড়া কিছু সকালের নাস্তা রেসিপি রয়েছে যেগুলো খুব সহজে অল্প সময়ের মধ্যে বানিয়ে নেওয়া যায়। সকালে নাস্তা বানাদে মন বসে না তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে বানাতে পারবে না এমন রেসিপি আমরা আপনার জন্য উপস্থাপন করছি। আজকে সকালে রেসিপি জন্য রেখেছি তিনটা আইটেম । আপনি পছন্দ মতো রেসিপি অনুযায়ী নাস্তা তৈরি করে পরিবারের সাথে নিয়ে খেতে পারবেন। রেসিপি তিনটা হলো
- আপ্পাম
- আপ্পাম এর সাথে খাওয়ার জন্য বাদামের চাটনি
- পূর ভরা ফুলকো
আপ্পাম তৈরির উপকরণ
- সামান্য চিনি
- লবণ স্বাদমতো
- ইনো অথবা বেকিং সোডা
- টক দই
- ও সুজি
আপ্পাম তৈরির পদ্ধতি
- এর জন্য প্রয়োজন হবে একটি মিক্সার মেশিন
- মিক্সার মেশিন এর মধ্যে জল ঢেলে দিন হাফ কাপ
- এর মধ্যে দিতে হবে এক কাপ পরিমাণ সুজি
- এই কাপের একটু কম টক দই দিয়ে দিন
- সাধ মতো লবণ দিয়ে দিন
- চিনি এক চা চামচ
- এবার ভালোভাবে মিক্স করে নিন
- লক্ষ্য রাখবেন মিক্সারটি যেন অতিরিক্ত পাতলা না হয়ে যায়
- এবার একটি পাত্রে আলাদা করে ঢেলে দিন
- এবার এরমধ্যে এক প্যাকেট ইনো দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে দিন
- এবার একটি প্রয়োজন হবে কড়াই
- চুলার উপর গলায় বসিয়ে তাদের হালকা মিডিয়াম আচ দিতে থাকুন
- এরপর কড়াইয়ের ওপর এক হাতে পরিমাণ মিশ্রণ নিয়ে সুন্দর গোলাকার আকৃতি করে ঢেলে দিন
- কিছুক্ষণ হালকা আচে সেকে নিন
- কিছুক্ষণ পর দেখবেন ওপরে ছোট ছোট ফুটা হয়ে গেছে
- এপাস ওপাস উল্টে শেকে দেওয়ার পর নামিয়ে ফেলুন
- এটি আপনি টমেটো সস দিয়েও খেতে পারেন এছাড়াও বাদামের চাঁটনী তৈরি করে খুব মজা করে খেতে পারবে ।
বাদামের চাটনি তৈরির উপকরণ
- অল্প পরিমাণে চিনি
- নারিকেল করা
- টক দই
- তেতুল
- লবণ
- অল্প পরিমাণে বিউলির ডাল
- কারি পাতা
- শুকনো লঙ্কা
- কালো সরিষা
- মরিচ গুঁড়া
- কাঁচামরিচ
- রসুন
- ভাজা বাদাম
- ভাজা ছোলা
বাদামের চাটনি বানানোর পদ্ধতি
- এর জন্য আপনার মিকচার মেশিনের মধ্যে দিতে হবে সামান্য চিনি ,সাদমত লবণ, পাকাতেতুল এক চা চামচ , টক দই তিন চা চামচ , পরিমাণ মতো মরিচ গুঁড়া কাঁচা মরিচ কুচি , রসুন ভাজা , ছোলা হাফ কাপ , ভাজাবাদাম হাফ কাপ ।
- এবার এর মধ্যে কিছুটা জল দিয়ে মিক্স করে নিন ভালোভাবে মিক্স করতে হবে
- মিক্স করা হয়ে গেলে তার মধ্যে দিতে হবে হাফ কাপ জল এবং নারিকেল করা
- এবার আপনার একটি করাই নিয়ে তার মধ্যে তিন চামচ দিতে হবে তেল
- তেল তেল উঠে গেলে সরষে শুকনো মরিচ কারি পাতা দিয়ে ভালোভাবে গোল্ডেন কালার ভেজে নিন
- এবার এর মধ্যে আগে বাড়ানো মিক্সটি একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ফেলুন তৈরি হয়ে গেল বাদামের চাঁটনী । বাদামের চাটনি ও আপ্পাম একসাথে খেতে অসাধারণ লাগে ।
পুরভরা ফুলকো তৈরির উপকরণ
- আটা অথবা ময়দা এক কাপ
- লবণ
- বেকিং সোডা
- কুসুম গরম পানি
- পেঁয়াজকুচি হাফ কাপ
- কালোজিরা হাফ কাপ
- আদা রসুন বাটা হাফ কাপ
- হলুদ বাটা হাফ কাপ
- হাফ কাপ মরিচ বাটা
- জিরা বাটা হাফ কাপ
- ধনিয়া বাটা হাফ কাপ
- আলু দুইটা
পুরভরা ফুলকো তৈরির পদ্ধতি
- প্রথমে আপনাকে দুইটা আলো ছোট ছোট খন্ড করে কেটে নিতে হবে
- কেটে নেওয়া আলু ভালোভাবে ধুয়ে রাখূণ
- এবার একটি পাত্রে আধা কাপ ময়দা অথবা আটা পরিমাণ মতো লবণ বেকিং সোডা এর সাথে কুসুম গরম পানি দিয়ে ডো করে নিতে হবে
- ডো করা হয়ে গেলে একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন
- অন্যদিকে একটি প্যান চুলায় বসিয়ে হালকা আঁচ দিতে হবে
- এর মধ্যে দিতে হবে হাফ কাপ পেঁয়াজ কূচী
- এবার কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন
- তারপর কালোজিরা হাফ চা চামচ , আদার রসুন বাটা চামচ , হলুদ হাফ চামচ , মরিচ গুঁড়া জিরা বাটা ধনিয়া বাটা হাফ চা চামচ , এবং কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে নাড়তে হবে ভালোভাবে কষানো হলে এর মধ্যে দিতে হবে আলু কুচি ।
- কিছুক্ষণ ণেরে দেওয়ার পর একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আলোগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ।
- অন্যদিকে ডো করে রাখা ময়দা গুলো ছোট ছোট গোল গোল খন্ডে ভাগ করতে হবে
- খন্ডগুলো হাত দিয়ে অথবা বেলে ছোট বাটির মতো আকৃতি করতে হবে
- এদিকের আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে খন্ডগুলোর মধ্যে আলু কষানো কিছুটা পরিমাণ দিতে হবে
- এবার খণ্ডগুলোর মুখ বন্ধ করে দিতে হবে
- গোল গোল খন্ডগুলো দুপাশ থেকে চাপ দিয়ে পছন্দের সাইজ অনুযায়ী চ্যাপ্টা করে নিতে হবে
- এভাবে সবগুলো করার পর প্যানে এগুলো রেখে ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে দিতে হবে
- কিছুক্ষণ পরপর এপাশ ওপাশ উল্টিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে মনে রাখবেন তেল দেওয়া যাবে না
- ফুলকর মত ফুলে উঠেছে ?
- হ্যাঁ এগুলো এখন খাওয়ার জন্য রেডি ।
মেদ কমাতে সকালের নাস্তা
অনেকে মনে করেন সকালে না খেয়ে থাকলে মনে হয় ওজন কমে যাবে এজন্য সকালে না খেয়ে একেবারে দুপুরে খাবার খান। কিন্তু এতে যে আপনার কতটা ক্ষতি হচ্ছে আপনি নিজে ও বুঝতে পারছেন না। সকালে না খেয়ে থাকার ফলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের জটিলটা । এই জটিলতা কাঁটাতে হলে আপনাকে প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যসম্মত নাস্তা করতে হবে ।
উপরে তেল ছাড়া নাস্তার রেসিপি আপনাকে দেখিয়েছি এইভাবে প্রতিদিন আপনি তেল ছাড়া রাস্তা তৈরি করে খেতে পারেন এতে আপনার অনেক উপকার হবে । এগুলো ছাড়াও আরো অনেক রেসিপি রয়েছে যেগুলো মেদ কমাতে সাহায্য করে । সকালের অবশ্যই তেল ছাড়া নাস্তা করা উত্তর । সকালের নাস্তায় আপনাকে খেতে হবে আইরন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ।
আরও প্রোটিন মিনারেল ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার রাখা যায় । এতে আপনার শরীরের সকল পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে ।মেদ কমাতে সকালের নাস্তা কিছু আইডিয়া দেওয়া হল-
- সকালে নাস্তায় আপনি কিছুটা পরিমাণ সালাদ রাখতে পারেন । সালাদ বিভিন্ন ধরনের হয় শুধু টমেটো শসা গাজর এর মধ্যেই সালা সীমাবদ্ধ নয়। সালাতের সাথে আপনি একটি সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন অথবা ছোলা বুট ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন এতে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে ।
- সকালে খাবার জন্য একটি আদর্শ নাস্তা হলো ওটশ । এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আশ এবং এতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে । এটি আপনাকে দ্রুত খিদা লাগার হাত থেকে রক্ষা করবে কারণ এটি হজম হতে সময় নেয় বেশি । এটি আপনার শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা থেকে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে ।
- প্রতিদিন সকালে নাস্তার সাথে আপনি খেতে পারেন বাদাম । এটি আপনি রাত্রে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন । রাত্রে বাদাম ভিজিয়ে রাখলে এর পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য উপকারী হয় । বাদাম আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে প্রচুর পরিমাণে । তাই অবশ্যই সকালের নাস্তায় রাখুন বাদাম ।
- ওটমিল আপনার শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যদি আপনার শরীরে অতিরিক্ত মেদ থেকে থাকে । কারণ এটি শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমায় । এর ফলে আপনার শরীর হবে স্লিম সুন্দর এবং অনেক শক্তিশালী ।
- ডিমএ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন । টিমে রয়েছে চর্বি কমানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে উপাদান । আপনার শরীরের অতিরিক্ত চলবে কমাতে এই উপাদান গুলো অধিক কার্যকারী । তাই অবশ্যই সকালের রাস্তায় আপনি একটি হলেও ডিম খাবেন । প্রতিদিন যদি সকালের রাস্তায় একটি করে ডিম খান তবে খুব দ্রুত আপনার শরীরের চর্বি কমতে থাকবে ।
- দই এ ডিমের মতোই রয়েছে প্রোটিন । এটিও আপনার শরীরকে শক্তিশালী করতে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে । অধিক উপকার পেতে ডিমের সাথে সাথে দইও রেখে দেন কিছুটা পরিমাণে । তো আপনার শরীরের ক্যালরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে আপনি কাজ করে ক্যালরি শেষ করতে পারবেন না ।
- প্রতিদিন সকালে আপনি একটি করে আপেল খেতে পারেন কারণ আপেনে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদান । আপেল একটি খুবই সুস্বাদু এবং আশ জাতীয় ফল । আপেল খেলে আপনার পেটে অনেকক্ষণ ধরে ভরা থাকবে খিদা কম লাগবে এতে আপনি কাজ করে মজা পাবেন। যদি সম্ভব হয় প্রতিদিন সকালে অন্তত একটি আপেল খেতে হবে ।
- পেটের মেদ জমতে বাধা প্রদান করে কলা । কলা খুবই উপকারী একটি ফল এটি যদি আপনি প্রতিদিন একটি করে খান আপনার শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা থেকে এটি প্রতিশোধক হিসেবে কাজ করবে । অধিক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান শরীরের গুণগতমান বজায় রাখতে চাইলে খাবার তালিকায় সকালের নাস্তায় রেখে দিন কলা ।
- কমলা একটি সাইট্রিক এসিডযুক্ত খাবার যা আপনার শরীরে ক্ষয় রোধ করে এবং রক্তের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অক্ষম ভূমিকা পালন করে তাই প্রতিদিন সকালে খাবার তালিকায় রেখে দিন কমলা ।
- স্ট্রবেরি ও আঙ্গুর আপনার শরীরের জন্য উপকারী হবে যদি আপনি সকালের নাস্তায় এগুলো খেতে পারেন। কলা কমলা আপেলের সাথে স্ট্রবেরি ও আঙ্গুর খেতে পারবেন এগুলো আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন এমনকি সালাত করেও খেতে পারেন।
- ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকালে না খেয়ে থেকে আমাদের দেওয়া রেসিপিগুলো ব্যবহার করে সকালে নাস্তা করুন এবং সারাদিন সুস্থ থাকুন । সকালের না খেলে চিকনা হওয়া যায় এই ধারণা মন থেকে মুছে ফেলে প্রতিদিন এই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গুলো নিয়ম মেনে খেতে হবে ।
তেল ছাড়া কি সবজি বানানো যায়
অনেকে আছেন সমস্যার কারণে তেল খাওয়া ডাক্তার নিষেধ করে দিয়েছে । তারা হয়তো চাচ্ছেন তেল ছাড়া সবজি খাবেন কিভাবে । অনেকে প্রশ্ন করেন তেল খাওয়া তো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর আর সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকার তাহলে তেল ছাড়া শুধু সবজি কিভাবে খাওয়া যায়? হ্যাঁ অবশ্যই তেল ছাড়া আপনি খুব সহজেই সবজি রান্না করে খেতে পারবেন এতে কোন সমস্যা হবে না।
তেল ছাড়া সবজি রান্নার আগে আপনাকে একটি কাজ করতে হবে। আপনি যে সবজিটি রান্না করবেন সেই সবজিটি রান্না করার আগে ৭যুক্ত যেকোনো একটি পদার্থের ভিজিয়ে দিতে হবে কিংবা চুবিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ । স্টক , নো ওয়েল ড্রেসিং হলো সাধযুক্ত কিছু তরল পদার্থ ।
আপনি যে সবজিটি রান্না করতে চাচ্ছেন সেই সহজেগুলো এই পদার্থের মধ্যে কিছুক্ষণ সেকে তুলতে পারেন । এরপর সহজেটির রান্না করতে পারবেন তেল ছাড়া ।
পানিতে সবজি ভাজা যাবে কি
অনেকে জানতে চান তেল দিয়ে সবজি না ভেজে শুধু পানি দিয়ে সবজি ভাজা যাবে কিনা । হ্যাঁ অবশ্যই তেল দিয়ে না ভেবে শুধু পানি দিয়েও সবজি ভাজা যাবে । এর জন্য আপনার একটি প্যানে প্রথমের সবজির রান্নার জন্য পানি দিয়ে ঝোল তৈরি করে নিতে হবে এবং ঝোল ফুটানো হলে তার মধ্যে সবজি দিয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত শুকিয়ে না যায় জাল করতে হবে ।
এভাবে আপনি খুব সহজে সবজি ভাজা ভাজা করে তুলে নিতে পারবেন । যেহেতু আমরা তেল দিয়ে রান্না করে খেয়ে অভ্যস্ত তাই তেল ছাড়া রান্না করে খেলে স্বাদ একটু অন্যরকম লাগতে পারে তবে কিছুদিন খাওয়ার পর এটাই ঠিক হয়ে যায় ।
বিভিন্ন সবজি কতক্ষণ ভাজতে হয়
সবজি ভাজার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই কারণ সবজির যখন বয়স বেশি হয়ে যায় তখন সবজিগুলো কিছুটা শক্ত দেখায় এবং কুচি অবস্থায় সবজি কিছুটা নরম থাকে এ অবস্থায় রান্না করলে খুব তাড়াতাড়ি সবজি সিদ্ধ হয়ে যায় এবং যদি ভাজতে চান খুব তাড়াতাড়ি ভাজা হয়ে যায় । আবার শক্ত সবজি রান্না করতে অনেক সময় লেগে যায় ।
এছাড়াও কিছু সবজি সব সময় নরম আবার কিছু সবজি আছে ছোট থেকে অনেক শক্ত এ সকল সবজি রান্নার সময় সবগুলো এক হবে না কিছু সবজি আছে যেগুলো রান্না করতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লেগে যায় আবার কিছু সবজি আছে ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যেই রান্না হয়ে যায় এছাড়াও নরম কিছু সবজি আছে এগুলো তিন মিনিটেও হতে পারে ।
তাই নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না সবজি ভাজতে কতক্ষণ লাগে । তবে কোন সবজি ভাজতে কতক্ষণ সময় লাগে তার একটি তালিকা করে দেওয়া যেতে পারে । পরবর্তী অন্য কোন পোস্টে আমরা এই তালিকা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব সাবস্ক্রাইব করতে পারেন নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য ।
সবজি ভাজার তাপমাত্রা কত
সবজি ভাজার জন্য একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা রয়েছে আপনি যদি অতিরিক্ত তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভাজতে চান তাহলে সবজি অতি দ্রুত পুড়ে যেতে পারে এবং স্বাদ হবে না । সবজি ভাজতে হলে আপনাকে সর্বনিম্ন ৩২৫ ডিগ্রির তাপমাত্রা রাখতে হবে এবং সর্বোচ্চ রাখতে হবে ৩৭৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা ।
তবে কিছু কিছু সবজি আছে তার ক্ষেত্রে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি করা যেতে পারে আবার কিছু সবজি আছে তার ক্ষেত্রে কিছুটা কম করা যেতে পারে । আপনি কি সবজি রান্না করতে চান তার ওপর নির্ভর করে এই তাপমাত্রার ভিতরে রাখতে পারেন । এই তাপমাত্রার ভেতরে রাখলে সবজি সঠিকভাবে ভাজা সম্ভব ।
পরামর্শ
নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই তেল ছাড়া রান্নার রেসিপিগুলো আপনাকে সঠিকভাবে জানতে হবে । জানার পর আপনি এগুলো ট্রাই করে দেখতে পারেন বাসায় এবং কয়েকদিন খাবার পর নিজের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন । অতিরিক্ত তেল খাওয়া বাদ দিয়ে দিন । শরীরের অতিরিক্ত মেয়েদের ঝরিয়ে ফেলুন । কারণ অতিরিক্ত মেদ শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক ।
অতিরিক্ত মেদের কারণে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে । তাই আপনার উচিত হবে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা এবং মেদ কমাতে নাস্তা রেসিপি জেনে সেগুলো এপ্লাই করা ।
শেষ কথা
আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি যেগুলো আপনি সকালে কিংবা দুপুরে এমনকি সন্ধ্যায় রাস্তা হিসেবে খেতে পারবেন । এগুলো খাবার পর আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন । আপনার উপকারই আমাদের কাম্ম । তাই আপনি যদি উপকারী মনে করেন আমাদের পোস্ট তবে আপনার আশেপাশের সবাইকে উপকার করার জন্য শেয়ার করে দেন । আরো নতুন পোস্ট সবার আগে পেটে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন ধন্যবাদ ।
অনলাইন টেক২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url