শীতের সময় মেয়েদের ত্বকের যত্ন | শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে ক্রিম

শীতকালে ছোট থেকে প্রাপ্তবয়স্ক যে কারো ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ। শরীর হয়ে যায় খসখসে এবং আঙ্গুল দিয়ে ঘষা দিলে সাদা দাগ দেখা যায় । যদি এই ত্বকের যত্ন না করা হয় তবে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে । শীতে ত্বকের যত্নের জন্য রয়েছে ঘরোয়া কিছু উপায় যেগুলো ব্যবহার করে শীতের ত্বককে ফর্সা এবং উজ্জ্বল করা সম্ভব। আপনাকে জানতে হবে শীতে ত্বকে কিভাবে যত্ন নেওয়া যায় তবেই আপনি আপনার ত্বকের যত্ন নিতে সক্ষম হবেন।

শীতের সময় ত্বককে সুন্দর ও ফর্সা রাখা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে তাই আপনাকে শীতের সময় ত্বকের যত্ন সম্বন্ধে সকল বিষয় আজকে আমরা আমাদের পোষ্টের মধ্যে আলোচনা করেছি আপনি এখানে জানতে পারবেন শীতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে নিজের ত্বককে রাখবেন মসৃণ সুন্দর ফর্সা । তবে শীতের সময় অনেক নিয়ম মেনে আপনাকে ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
সূচিপত্র

ভূমিকা শীতের সময় মেয়েদের ত্বকের যত্ন | শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে ক্রিম

শীত মানেই রুক্ষ শুষ্ক ও চচ্চরে ফেটে যাওয়া ত্বক এই ধারণা পাল্টাতে হবে চোখ বদলেছে সময় বদলেছে । আধুনিক যুগে শীতের সময় রুক্ষ ফেটে যাওয়া ত্বক খুব কম মানুষেরই আছে । কারণ বর্তমানে হাজারো রকমের ক্রিম এবং ত্বকের জন্য ঘরোয়া উপায় বিশেষজ্ঞরা সাধারণ মানুষের মাঝে ধারণা দিয়ে যাচ্ছে ।

কিছু টেকনিক এবং ত্বকের যত্নে কিছু ক্রিম ব্যবহার করে আপনি আপনার ত্বক রাখতে পারবেন সুন্দর ফর্সা ও মসৃণ । এ সম্পর্কে আজকে আমাদের আলোচনা । শীতের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সঠিকভাবে রূপচর্চার মাধ্যমে শরীরকে ফর্সা ও সুন্দর করা যায় । এ সকল বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাচ্ছেন এখানেই ।

শীতের শুরুতে ত্বকের যত্ন

শীত চলে এসেছে মানেই হল ত্বকের নানা সমস্যা সৃষ্টি হওয়া শুরু করেছে । ফেটে যাওয়া থেকে শুরু করে ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট এবং তার কালো হওয়া শুরু করে শীতের আগমনের সাথে সাথেই । এর জন্য আপনাকে নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা । আপনাকে শীতের শুরুতেই একটি মশ্চারাইজ ক্রিম সিলেক্ট করতে হবে । 

এমন একটি মশ্চারাইজার ক্রিম সিলেক্ট করতে হবে যে ক্রিমটি আপনি শীতের সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন । আপনাকে এমন একটি মশ্চারাইজ ক্রিম কিনতে হবে যে কি একটি শীতে অত্যন্ত উপকারী । ক্ষতি করে ত্বকের জন্য এমন কোন ক্রিম কিনা আপনার উচিত হবে না। এর সাথে নিতে হবে একটি লোশন । 

আপনার শরীরকে সুন্দর ও চকচকে ফর্সা রাখবে । তাই সকল পুষ্টিগুণ সম্মত একটি লোশন সিলেক্ট করুন এবং আপনার তোকে ব্যবহারের জন্য কিনে ফেলোন । যতবার আপনার ত্বক মনে হবে যে ফেটে চড়চড়ি হয়ে গেছে ততবার লোশন ব্যবহার করতে পারেন এতে ধীরে ধীরে আপনার শরীরের চামড়ায় পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং টক হবে নমনীয় । 

আপনি পায়ের দিকে তাকালেই দেখবেন পা ফেটে যাচ্ছে এর জন্য আপনি নিতে পারেন এটি ভেসলইন । শীতে প্রতিদিন আপনার গোসল করা প্রয়োজন কারণ শীতের সময় শরীরে বিভিন্ন রোগ জীবাণু চামড়ার সাথে আটকে থাকে যা আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর । অনেকেই ঠান্ডার ভয়ে গোসল করা বাদ দিয়ে দেয় ।

তাদের শরীর ধীরে ধীরে হতে থাকে রুক্ষ এবং ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা হারায় । শীতের সময় কিছুক্ষণ পরপর আপনার মুখমণ্ডল পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে রাখতে হবে । শীতের সময় অনেকে আছেন অনেক ধরনের চিন্তা ভাবনা মাথায় আসে তারা মনে করেন শীতের সময় সূর্যের তাপ কম থাকে এতে শরীরের ত্বকের কোন ক্ষতি হয় না কিন্তু আপনি কি জানেন ?

 শীতের সময় ত্বকের অনেক ক্ষতি করে সূর্যের আলো । তাই সান প্রটেকশন ক্রিম ব্যবহার করে বাইরে যাবেন । শীতের শুরুটা যদি হয় পরিকল্পনামাফিক তবে পুরো শীত জুড়ে আপনার ত্বক থাকবে সুন্দর এবং ফর্সা।

সকালে ত্বকের যত্ন

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যায় চারিদিকে যেমন সাদা সাদা কুয়াশাই ভেজা অবস্থা ঠিক তেমনি কোয়াশার মত পড়ে আছে তেল আপনার মুখের উপরে । এই অবস্থায় আপনাকে দেখাতে পারে কুৎসিত। অনেকেই দুশ্চিন্তা করেন যে এটা কিভাবে নিরাময় পাওয়া সম্ভব । কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনে চলে এটা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যায় ।

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই একটি ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন । এখন প্রশ্ন হতে পারে কি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ দিয়ে নিব ? এটাই স্বাভাবিক কিন্তু নির্দিষ্ট করে একটি ফেসওয়াশের নাম বলা আমার উচিত হবে না কারণ সবার ত্বকের জন্য একই ফেসওয়াশে কার্যকরী হবে তা কখনোই নয় আর আমরা চাই না আমাদের কোন তথ্য আপনার ক্ষতির কারণ হয়ে যাক । 

তাই পরবর্তী প্যারা গুলো পূরণ এবং আপনার জন্য কোন কোন মসুরাইজ ক্রিম এবং কোন ফেসওয়াশটি আপনার জন্য উত্তম হবে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেওয়ার পর বেছে নিয়ে একটি ফেসওয়াস । ঘাবড়ানোর কিছু নেই সকল সমস্যার সমাধান আপনি এখানে পেয়ে যাবেন । 

সকালে মুখ ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুখে নেওয়ার পর আপনিতো তৈলাক্ত ভাব থেকে রক্ষা পেলেন কিন্তু এবার মুখ শুকিয়ে যাওয়ার পর টান টান চচ্চরে ভাব চলে আসে এটি নিরাময়ের জন্য আপনাকে একটি ক্রিম ব্যবহার করতে হবে । সকালে ঘুম থেকে উঠে কোন অবস্থা নেই সাবান ব্যবহার করবেন না কারণ সাবান শরীরের উজ্জ্বলতা ত্বকের শুষ্ক করে দেয় । 

ঘুম থেকে উঠেই হাত মুখ ভালোভাবে ধোয়া শেষ হয়ে গেলে আপনার সারা শরীরে লোশন ব্যবহার করতে হবে এতে আপনার শরীরের ত্বক থাকবে উজ্জ্বল । শীতের সকালে রোদ পোহাতে কার না ভালো লাগে !! মজা লাগলেও এটি আপনার ক্ষতিকর হতে পারে তাই শীতের সময় বাইরে যাওয়ার আগে সানস্কিন ব্যবহার করবেন। এর ফলে আপনার ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে ।

শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্ন

শীতের সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। শীতের আবহাওয়ার সাথে সাথে শরীরের বিভিন্ন রোগ চলে আসে । এর সাথে মোকাবেলা করতে হলে আপনাকে সাদা প্রস্তুত থাকতে হবে । উপরে শীতের সকালের যত্ন নিয়ে তো জানতে পেরেছেন এবার জেনে নিন শীতের দুপুরের যত্ন নিয়ে । দুপুরে সাধারনত যত্ন নেওয়ার সময় হল গোসল করার আগে ও পরে । 

গোসল করার আগে ও পরে এই দুইটি বিষয়ে নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে বোঝানো হলো-

গোসলের আগে ত্বকের যত্ন

আমাদের দেশের বহু পুরাত প্রথা হলো গোসলের আগে গায়ে সরিষার তেল মাখা । বয়স্ক ব্যাক্তিদের এই অভ্যাসটি বেশি লক্ষ্য করা যায় । আপনি শীতের সময় গোসল করার আগে আপনার শরীরে ভালোভাবে তেল মেখে নিবেন কারণ তেল মাখিয়ে গোসল করলে চুলের পর শরীর সুন্দর থাকে । গোসলের আগে বিভিন্ন অলিভ অয়েল রয়েছে যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন । 

আপনি যদি সরিষার তেল ব্যবহার করেন তবে এটা বেশি উপকারী হবে । এছাড়াও রয়েছে নারিকেল তেল বিভিন্ন জরিবুটি দ্বারা তৈরি তেল । এগুলোর যেকোনো একটি আপনি গোসলের আগে শরীরে ভালোভাবে মালিশ করে নিন । এতে আপনার গোসলের পর শরীরের ত্বক থাকবে ভালো ।

গোসলের সময় ত্বকের যত্নে

গোসলের সময় অনেকেই এমন কিছু উপাদান দ্বারা তৈরি সাবান ব্যবহার করে যেসব সাবানের কারণে শরীর ও হয়ে যায় রুক্ষ শুষ্ক ও পরে দেখা যায় শরীরে ত্বক ফেটে গেছে এবং মরা চামড়া দেখা যায় তাই গোসলের সময় আপনাকে সাভার পরিহার করতে হবে । এখন প্রশ্ন হতে পারে সাবান যদি পরিহার করি তাহলে কি ব্যবহার করব ? 

গোসলের সময় আপনি কিছু সাবান রয়েছে যেগুলোতে আদ্রতাযুক্ত সাবান । আদ্রতা যুক্ত সাবান আপনি ব্যবহার করতে পারেন এতে কোন ক্ষতি হবে না । গোসলের সময় দেখা যায় অনেকেই রয়েছে গরম পানি দ্বারা গোসল করে থাকেন । তবে এ ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে । অতিরিক্ত গরম পানির শরীরে দেওয়ার পরে শরীরের চামড়া মরে যায়। 

আর শীতের সময় এই মরা চামড়া খসখসে হয়ে উঠে আসে এতে আপনার শরীর উজ্জ্বলতা হারাবে । আপনি যদি গরম পানি দ্বারা গোসল করেন পানিটি অতিরিক্ত গরম না রেখে হালকা গরম করে নিন । গরম পানি মাথায় এবং মুখে লাগাবেন না এতে আপনার ফেসের ত্বক নষ্ট হয়ে যেতে পারে । গোসলের সময় পানিতে কিছুটা পরিমাণ বাদাম তেল মিশিয়ে নিবেন এতে আপনার ত্বক থাকবে আদরের দা মুক্ত এবং গোসলের পর শরীর থাকবে সুন্দর মসৃণ ।

গোসলের পরে ত্বকের যত্ন

গোসলের পরে একটি নরম তুলতুলে থুয়ালি দিয়ে সরাসরি ভালোভাবে মুছে দিতে হবে । শরীর হালকা ভেজা থাকা অবস্থায় লোশন ব্যবহার করতে হবে । আপনার ত্বকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ লোশন সিলেক্ট করতে হবে যাতে লোশন মেখে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি না হয়। গোসলের পরে তেল দিয়ে পুরো শরীর ভালো হবে মাসাজ করে নিতে পারেন ।

এতে আপনার শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং শরীরে থাকা মরা চামড়া গুলো ঝরে পড়ে যাবে । যতবার শরীর খসখসে হয়ে যাবে ততবার লোশন ব্যবহার করুন ।

বাইরে যাওয়ার আগে ত্বকের যত্ন

শীতের সময় চারিদিকে কুয়াশায় ঘিরে থাকলেও কোন কোন দিন সূর্য অনেক উজ্জ্বল হবে তাপ দিতে থাকে এই তাপ শরীরে অনেক মজা আনলেও এটি আমরা ত্বকের ক্ষতি করছে তাই আপনি বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করে নিবেন এতে আপনার ত্বক উজ্জ্বলতা ও মসৃণ বজায় থাকবে । 

সূর্যের আলো যেন শরীরে পড়ে শরীরের চামড়া গুলো শুকিয়ে না দিতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কারণ শীতের সময় একটু ভুল হলেই শরীর তার উজ্জ্বলতা হারাবে এবং শরীরের তক হয়ে যাবে রুক্ষ ।

শীতের রাতে ত্বকের যত্ন

শীতের রাত মানেই অলসতা আর ঘুমের রাত । কিন্তু শুধু অলসতা করলেই হবে না আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার ত্বকের দিকে । শীতের রাতে আপনাকে অবশ্যই শরীরে লোশন ব্যবহার করতে হবে। রাতে শীত একটু বেশি পড়ে তাই শরীরের ত্বকের উপর শীতের প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়। কম বয়সে ছেলে মেয়েদের শীতের সময় বিশেষ করে রাতে লোশন ব্যবহার করতে হবে। 

এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন যেকোনো পেট্রোলিয়াম জেলি। সন্ধ্যা থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত শরীরের কিছু পরিচর্যা করার প্রয়োজন এবং ঘুমের মধ্যে আপনার শরীর যেন সুস্থ এবং সুন্দর মসৃণ থাকে সেজন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে রয়েছে কিছু নিয়ম।

সন্ধ্যার পর ত্বকের যত্ন 

আপনাকে লক্ষ্য করবে শীত আর আপনি লক্ষ্য করবেন শীতকে দেখবেন সন্ধ্যার সময় শীত একটু বেশি পড়ছে তার সাথে সাথে আপনার শরীরের উজ্জ্বলতা এবং মসৃণতা কমতে থাকে । এবং রাত যত গভীর হতে থাকে আস্তে আস্তে এই প্রক্রিয়া বেশি হবে । তাই শীত গভীর হওয়ার আগেই আপনার শরীরে ভালোভাবে লোশন মেখে নিতে হবে । আপনি যেকোনো ধরনের মশ্চারাইজিং লোশন পুরো শরীরে মাখার জন্য নিতে পারেন।

রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্ন

ঘুমের মধ্যে যেন শরীরে ত্বকের কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য আপনাকে ঘুমানোর আগে শরীরে লাগিয়ে নিতে হবে অলিভ অয়েল অথবা ত্বকের আদ্রতা এবং উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে পারবে এমন ক্ষমতা সম্পন্ন তে ল । তেল পুরো শরীরে মাখিয়ে ভালোভাবে মালিশ করতে হবে এতে পুরো শরীরে ভালোভাবে তেল লেগে গেলে রাতে ঘুমের মধ্যে শরীরের কোন ক্ষতি হবে না এমনকি সকালে উঠে দেখবেন শরীর তার উজ্জ্বলতা হারায়নি বরঞ্চ যেমন রেখেছিলেন তেমনি রয়েছে।

প্রতিদিন ত্বকের যত্ন | সারাদিন ত্বকের যত্ন

বাঙালি মানেই অলস । কোন কাজ বারবার করতে পছন্দ করে না । কিন্তু আপনি যদি আপনার ত্বকের যত্ন নিতে চান তবে আপনাকে লাগাতার একই কাজ বারবার করতে হবে । আপনি যদি এক দুই দিন ত্বকের যত্ন নেন পরবর্তীতে আবার দুইদিন ত্বকের যত্ন না নেন তবে আপনার ত্বক কোনদিনও উজ্জ্বল মসৃণ সুন্দর ও ফর্সা হবে না । 

তাই আপনাকে প্রতিদিন ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে। আপনি যে লোশনটি ব্যবহার করছেন প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে । আপনি যে ফেসওয়াশ টি ব্যবহার করছেন সেটিও প্রতিদিনই ব্যবহার করতে হবে । আপনাকে অবশ্যই আপনার ত্বকের জন্য একই জিনিস প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে । 

নিত্য নতুন জিনিস ত্বকের ক্ষতি করতে পারে তাই আপনার জন্য উপকারী যে কোন একটি বেছে নিন। প্রতিদিন সকাল থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত কি ব্যবহার করবেন এবং কিভাবে ব্যবহার করা উচিত কখন ব্যবহার করা উচিত এ ব্যাপারে উপরের আলোচনা পড়ে বুঝে গেছেন আশা করি । এই মোতাবেক কাজ করে আপনি আপনার ত্বকের যত্নে সফল হতে পারবেন।

শীতে ত্বকের যত্নে ক্রিম | শীতে ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো

শীতকালে কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয় । এ সময় তোকে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এই সমস্যা সমাধানের জন্য রয়েছে কিছু ক্রিম যেগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই এই সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব তবে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন ক্রিমটি ব্যবহার করছেন সেটি ব্যবহার করে কেউ উপকৃত হয়েছে কিনা এবং আপনি উপকৃত হবেন কিনা। শীতকালে ত্বকের জন্য ভালো কয়েকটি ক্রিম হলো-
  • পন্ড'স ময়েশ্চারিং
  • নুরিশিং স্কিন ক্রিম
  • হিমালায়া
  • লোটাস হার্বালস নিউট্রামাইস্ট
  • বায়োটিক বায়ো স্যাফরন
  • ল্যাকমে অ্যাবসোলিউট স্কিন গ্লস জেল
  • নিভিয়া সফট , এছাড়াও বাজারে কিছু ভালো ভালো ক্রিম পাওয়া যায়। এর মধ্যে আপনার জন্য উপকারী যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন নির্দ্বিধায়।

শুষ্ক ত্বকের ক্রিম | শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো

অনেকের ত্বক রয়েছে শুষ্ক এবং রুক্ষ। তাদের জন্য রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট ক্রিম যেগুলো ব্যবহার করে শরীরের রুক্ষতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শীত বাড়ার সাথে সাথে শরীরের রুক্ষতা বেড়ে যায় তাই অবশ্যই আপনাকে একটি ক্রিম ব্যবহার করতে হবে যা আপনার ত্বক করবে মুশরিন ও সুন্দর। বাজারে বেশ কিছু শুষ্ক ত্বকের ক্রিম পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো-
  • cereVe moisturizing cream for normal to dry skin
  • newtrogena hydro boost gel cream dry skin
  • nevea soft ময়েশ্চারাইজার ক্রিম
  • simple kind to skin replenishing rich moisturiser
  • the body shop vitamin intense moisture cream

পরামর্শ

দিতে যেহেতু ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় সেজন্য আপনাকে প্রথম অবস্থায় থেকেই সতর্ক থাকতে হবে এবং সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে । একটু অনিয়ম হলেই আপনার তক হয়ে যাবে শুষ্ক রুক্ষ । এজন্য অবশ্যই একটু ব্যয়বহুল হলেও আপনি দামি মশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করুন এর সাথে লোশন শরীরের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। 

আপনার জন্য যে ক্রিম উপকারী সেই ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে কারণ সবার ত্বকে একই রকম ময়েশ্চারাইজার ক্রিম উপকার হবে এমনটা নাও হতে পারে।

শেষ কথা

আজকে আমরা শীতের সময় মেয়েদের ত্বকের যত্ন ও শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্নে ক্রিম সম্পর্কে আপনাকে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিছু বাধ্যবাধকতার কারণে আরো কিছু টপিক বাদ পড়ে গেছে যেগুলো আমরা অন্য কোন পোষ্টের মধ্যে আলোচনা করে আপনাদের জন্য পাবলিশ করব সেগুলোর নোটিফিকেশন পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন। 

এবং এই পোস্টটি থেকে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আপনার আশেপাশে সবাইকে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন টেক২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url