শীতে ত্বকের যত্নে টিপস | শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়

শীতকালে ত্বকের যত্ন নেয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার কিন্তু কষ্টকে উপেক্ষা করে ত্বক ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই এর জন্য নিতে হবে। ত্বকের যত্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস আপনাদের সামনে আজকে তুলে ধরব যার মাধ্যমে আপনি শীতের শুরু থেকে শেষ অব্দি আপনার ত্বক রাখতে পারবেন ঝামেলা মুক্ত। শীতে ত্বকের যত্নের কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো জানতে পারলে আপনি ঘরে বসে থেকেই খুব অল্প খরচে ত্বকের খুব ভালোভাবে যত্ন নিতে পারবেন।
শীতকালে ত্বকের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ত্বকে রাখতে পারবেন উজ্জ্বল সে সম্পর্কে আজকে আপনাকে ধারনা দিব । শীতকালে ত্বককে উজ্জ্বল এবং মসৃণ রাখা অনেক কষ্টসাধ্য কিন্তু আজকে এ বিষয়টিকে খুব সহজভাবে আপনার সামনে তুলে ধরছি।
সূচিপত্র

ভূমিকা শীতে ত্বকের যত্নে টিপস | শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়

শীতে ত্বকের জন্য কিছু টিপস রয়েছে যেগুলো আপনি মেনে চললে অবশ্যই আপনি ত্বককে আগে থেকে আরও বেশি উজ্জ্বল এবং ফরসা সুন্দর নমনীয় করতে পারবেন । টিপস গুলো আপনি খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন পোস্টটি পুরোটা পড়লে । এছাড়াও আজকে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে আপনার ত্বক কে সুন্দর রাখার জন্য ।

এসব ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে বাজার থেকে কিনা যেকোনো ক্যামিকেল যুক্ত প্রোডাক্ট এর থেকে ঘরোয়া উপায় বেশি কাজ করে । আজকের টিপস গুলো হতে চলেছে পুরো শীতের ত্বকের যত্নে সর্বোত্তম কার্যকারী ।

শীতে মুখে কি মাখা উচিত

মুখে মাখার জন্য রয়েছে কিছু পুষ্টিকর উপাদান । যেগুলোকে সাধারণত ঘরোয়া উপায় হিসেবে ধরা হয়। আপনি যদি মুখের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে চান এবং আপনার ত্বক ফর্সা রাখতে চান তবে এ সকল উপাদান গুলো ব্যবহার করতে পারেন খুব সহজে-
  • নাইট ক্রিম
  • ময়েশ্চারাইজার যুক্ত ক্রিম
  • কাঁচা হলুদ
  • চালের গুড়া
  • পেট্রোলিয়াম জেলি
  • বেসন
  • দুধ
  • নারিকেল তেল
  • অলিভ অয়েল বা জলপায়ের তেল
  • ওটস
  • এলোভেরা
  • পাকা পেঁপে
  • পাকা কলা
  • মধু

শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়

শীতের সময় হাজারো ব্যস্ততার মাঝে ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়ে যায় অনেক কঠিন তবে এই কঠিন কাজকে খুব সহজভাবে জানতে পারলে এটি মানা হয়ে যাবে অনেক সহজ। ছাত্রছাত্রীদের সারাদিনের লেখাপড়া চাকরিজীবীদের সারা দিনের কাজের চাপে ত্বকের যত্ন নেওয়া সময় থাকে না তাই তাদের জন্য রয়েছে কিছু ঘরোয়া টিপস ।

যে টিপস গুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে ব্যবহার করে তোকে করে তোলা যাবে প্রাণবন্ত সুন্দর ও উজ্জ্বল । ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় একমাত্র কার্যকারী। কয়েকটি ঘরোয়া উপায় রয়েছে সেগুলোর দ্বারা ত্বকে সুন্দর এবং মসৃণ রাখা সম্ভব।

শীতে ত্বকের যত্নে পাকা কলা

রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যা আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী তাই প্রতিদিন ব্যবহার করার সময় না থাকলেও একদিন পরপর পাকা কলা ব্যবহার করার অভ্যাস করুন এতে আপনার ত্বকে অধিক ধরে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। পাকা কলা ব্যবহার করতে হবে অলিভ অয়েল এর সাথে। অলিভ অয়েলের সাথে পাকা কলা ব্যবহার করলে সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায় । 

ছোট একটি কলা খোসা ছাড়িয়ে সে কলাটি ভালোভাবে গুলিয়ে নিতে হবে দেখতে যেন পেস্ট এর মত হয়ে যায় । এবার এর সাথে মিশাতে হবে অলিভ অয়েল আপনি যদি চামচ কলার পেস্ট নিতে চান তবে তার সাথে এক চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন ভালোভাবে এবার মুখোমন্ডলে ভালোভাবে লাগিয়ে রেখে দেন ।

প্রায় ২০ মিনিট ২০ মিনিট রাখার পরে দেখবেন পুরো মুখ চড়চড়ে হয়ে লেগে গেছে এবার পানি দিয়ে হালকা ডলে ডোলে তুলে ফেলুন । ভালোভাবে ধৌত করা হলে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন । এভাবে একদিন পরপর ব্যবহার করতে থাকো দুই থেকে তিন সপ্তাহ পরই পার্থক্যটা লক্ষ্য করতে পারবে । 

আগের অবস্থা থেকে অধিক গুনে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং ত্বক হয়ে যাবে লকলকে এবং ফর্সা ।

ত্বকের যত্নে পাকা পেঁপে

পাকা পেঁপের উপকারিতা ত্বকের জন্য অনেক বেশি। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত হবে না তাই আপনি সপ্তাহে একদিন পরপর মানে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহার করতে হলে কিছুটা পরিমাণ পাকা পেপে নিতে হবে একবার ব্যবহারের জন্য এক চা চামচ পাকা পেপে যথেষ্ট । এর সাথে নিতে হবে এক চা চামচ মধু । 

মধু আর পাকা পেঁপে একসাথে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় বেশি । পাকা পেঁপে ও মধু একসাথে নিয়ে ভালোভাবে ডলে ডলে পেস্ট বানিয়ে দিন । পেজটি মুখমণ্ডলে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। মুখমন্ডল শুকিয়ে যাওয়ার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে । এভাবে ব্যবহার করতে থাকুন । এভাবে ব্যবহার করলে শীতে আপনার ত্বকের কোন ক্ষতি হবে না ।

ত্বকের যত্নে এলোভেরা

এলোভেরা এমন একটি জিনিস যা আপনার ত্বকে জমে থাকা বজ্র পদার্থ টেনে বের করে নিয়ে আসে । তোকে যত ময়লা রয়েছে সবগুলো দূর করতে এলোভেরা সাথে অলিভ অয়েল অথবা নারিকেল তেল ব্যবহার করার উপকার অতুলনীয় । অ্যালোভেরা এক চা চামচ এর সাথে এক চা চামচ অলিভ অয়েল অথবা নারিকেল তেল দিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করুন । 

এবার পেস্ট মুখমন্ডলে লাগিয়ে রাখুন 15 থেকে 20 মিনিট । মুখমণ্ডল শুকিয়ে যাওয়ার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এভাবে সপ্তাহে তিন দিন অথবা একদিন পরপর ব্যবহার করতে হবে এতে আপনার ত্বকের জমে থাকা সকল ময়লা দূর হয়ে যাবে তক হয়ে যাবে উজ্জ্বল । এছাড়াও ত্বকের জন্য এলোভেরা ক্ষয় রোধ করে ত্বক করে তোলে ফর্সা । 

সাধারণত যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের জন্য অ্যালোভেরা এবং অলিভ অয়েল তেল খুবই উপকারী একটি উপকরণ ।

ত্বকের যত্নে ওটস

ওটস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি উপকরণ । অল্প একটু দুধের মধ্যে ওটস কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে ভালোভাবে ভেজানো হয়ে গেলে এর সাথে দিতে হবে এক চা চামচ মধু এবার এগুলো ভালোভাবে ঢলে ঢলে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। পেস্টটি  গালে লাগিয়ে রাখতে হবে পাঁচ মিনিট ,পাঁচ মিনিট পর যখন পেস্ট গালে আটকে যাবে 

তখন কিছুক্ষণ আগের আঙ্গুল দিয়ে পুরো মুখমণ্ডল ডলে নিতে হবে। অতিরিক্ত ডোলা যাবে না এতে মুখের উপরে পাতলা চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তাই আলতোভাবে ডলতে হবে । এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে এবং ত্বকের করবে ফর্সা ।এটি প্রতিদিন ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই । সপ্তাহের তিনবার ব্যবহার করা যথেষ্ট ।

ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল বা জলপায়ের তেল

তোকে যত্নে অলিভ অয়েল তেলের গুরুত্ব অপরিসীম এটি আপনার ত্বকে করবে মশ্চারাইজ । এটি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান । ত্বকের জন্য ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ অলিভ অয়েলে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ । ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ই খুবই উপকারী পুষ্টি উপাদান ।

এই পোস্টটি উপাদানটি আপনি পেয়ে যাবেন অধিক পরিমাণে । এছাড়াও অলিভ অয়েলে রয়েছে anti এক্সিডেন্ট । এই তিনটি উপাদান ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে এবং ত্বককে করে প্রাণবন্ত চকচকে সুন্দর । তাই একদিন পরপর সেটে ত্বকের যত্ন নিতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন ।

ত্বকের যত্নে নারিকেল তেল

শীতের সময় শীত বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে ফাটল ধরে আর এই ফাটল থেকে সৃষ্টি হয় ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা । তাই প্রথম থেকেই ত্বকের ফাটল রোধ করতে হলে নারিকেল তেল দিয়ে প্রতিদিন শরীর মাসাজ করতে হবে। তবে এই তেল ব্যবহার করতে হবে প্রতিদিন গোসলের আগে । প্রতিদিন গোসলের আগে নারিকেল তেল দিয়ে শরীর মাসাজ করুন । 

নারিকেল তেল দিয়ে শরীর মাসাজ করলে ত্বকের মশ্চারাইজ ফিরে আসে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকে। শীতের সময় দুপুরে গোসলের আগে প্রতিদিন নারিকেল তেল দিয়ে মাসাজ করা প্রয়োজন । এটি অল্প সময়ের মধ্যে করা যায় কিন্তু এটি করলে অধিক পরিমাণে উপকার পাওয়া যায়। এমনকি এই উপকারটি পাওয়া যাচ্ছে খুব স্বল্প মূল্যে ।

ত্বকের যত্নে দুধ

আদর্শ খাবার হিসেবে দুধকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় এটা আমরা সবাই জানি। এটি খাবার হিসেবে যেমন উপকারিতা এমনি রূপচর্চার জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান । এটিতে রয়ে যায় সব প্রকারের পুষ্টি উপাদান যা আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং ত্বককে উজ্জ্বল ফর্সা এবং প্রাণবন্ত করতে সাহায্য করে থাকে দুধ এবং বেসনের পেস্ট । 

প্রতিদিন দুধের সাথে বেসন পেস্ট করে নিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে । মুখ শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে এরপর তোয়ালে দিয়ে মুছে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখুন পার্থক্যটার সাথে সাথেই পরিলক্ষিত হবে।

ত্বকের যত্নে বেসন

ত্বকের যত্ন নিতে বেসনের প্রয়োজন আছে তবে এটি দুধের সাথে পেস্ট করে ভালো হবে ব্যবহার করতে জানলে উপকার বেশি । তাই প্রতিদিন একবার করে দুধের সাথে বেসন একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে ব্যবহার করবেন । এটি ব্যবহার করে আপনার শরীরের যেকোনো জায়গায় ত্বক উজ্জ্বল ফর্সা করা সম্ভব। 

তাই ত্বকের সুন্দর উজ্জ্বল প্রাণবন্ত রাখতে চাইলে দুধের সঙ্গে বেসন ব্যবহার করুন। তবে বেসন শরীরে অতিরিক্ত ব্যবহার করা ক্ষতিকর হতে পারে তাই প্রয়োজনীয়তা ব্যবহার করুন অধিক লাভের আশায় নিজের ত্বকের ক্ষতি করবেন না ।

ত্বকের যত্নে মধু

মধু একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আপনার ত্বককে করে খুবই সুন্দর। প্রতিদিন একবার করে হলেও কিছুটা পরিবারে মধু মুখমন্ডলে মাখিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিট রেখে দিতে হবে এবং পরবর্তীতে এটি ধুয়ে ফেলতে হবে। আপনি শুধু মধু ব্যবহার করতে পারেন মুখে আবার বিভিন্ন উপাদানের সাথে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারে । 

মধুতে রয়েছে ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করবে এমন সফল উপাদানগুলো। তাই মধু যদি মুখে ব্যবহার করেন আপনার মুখ উজ্জ্বল প্রাণবন্ত চকচকে ফর্সা এবং ত্বক থাকবে ফাটল মুক্ত। মধুতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তাই এটি যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন খুব সহজে । যাদের অ্যালার্জির সমস্যা তারা ক্রিম ব্যবহার না করে মধুর সাথে আরো কিছু উপাদান যোগ করে রূপচর্চায় ব্যবহার করতে পারেন ।

শীতে ত্বকের যত্নে টিপস

সেটা ত্বকের যত্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস রয়েছে সে টিপস গুলো আপনি নিয়ে শীতকালে কখন কি করতে হবে কোনটি ব্যবহার করতে হবে এবং কোনটি ব্যবহার করা যাবে না এই সম্পর্কে ধারণা পাবেন সম্পূর্ণ। আপনি হয়তো অনেক টিপস খুঁজেছেন কিন্তু খুঁজে পাননি কোন নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে হবে 

এবংকোন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে কিংবা কোন লোশন ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল প্রাণবন্ত থাকবে । আজকে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ টিপস আপনাকে দিয়ে দেব সেগুলো আপনি ফলো করে শীতের রূপচর্চা করতে পারবেন।

শীতে ত্বকের যত্নে ক্রিম

অনেকেই জানতে চায় শীতের ত্বকের যত্নের জন্য কোন ক্রিম ভালো কি ধরনের ক্রিম ব্যবহার করা উচিত ? ত্বকের যত্নের জন্য এমন কিছু ক্রিম রয়েছে যেগুলো কোন উপকার করে না সেসব কিরে আপনার ওকে ব্যবহার করা বাদ দিয়ে দিতে হবে এবং এমন কিছু ক্রিম আপনাকে বাজার থেকে কিনতে হবে 

যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন ই ও আন্টি এক্সিডেন্ট এর মত ত্বকের জন্য উপকারী উপাদান সমূহ । আপনি যে ক্রিমটি ব্যবহার করতে চাচ্ছেন সেই ক্রিমে এই সকল উপাদান আছে কিনা যাচাই করে নিবেন । এই উপাদানগুলো আমরা ত্বকের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে ঘরে প্রাণবন্ধ উজ্জ্বল । 

শীতের সময় তকে যে সাদা চামড়া উঠে যায় বা চামড়া ফেটে যায় এই উপাদান গুলো এই সকল রোগ থেকে খুবই সহজেই আপনাকে রেহাই দেবে । তাই শরীরে ঠান্ডা বাতাস লাগার আগেই এমন উপাদান যুক্ত সিলেকট করে আপনি ব্যবহার করা শুরু করে দিন ।

শীতে ত্বকের যত্নে নাইট ক্রিম

শীতে রাতে বেশি শীত লাগে এর ফলে শীতের সময় রাতের বেলা শরীর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ত্বকের যত্ন নিতে হলে রাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ঘুমের মধ্যে আপনি ত্বকের যত্ন নেয়া হবে এমন একটি নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে হবে । নাইট ক্রিম ব্যবহার করার পরে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বককে সুন্দর ফর্সা ভাব নিয়ে আসে । 

তবে বাজারে অনেক নাইট ক্রিম রয়েছে যেগুলো অনেক সাইড ইফেক্ট রয়েছে । এমন নাইট ক্রিম ব্যবহার করা উচিত হবে না এমন একটি ক্রিম ব্যবহার করতে হবে যেটিতে ভিটামিন এ ভিটামিন ই ও ভিটামিন বিভিন্ন ধরনের বিদ্যমান । এছাড়াও একটি এক্সিডেন্ট এমন একটি উপাদান যা শরীরের সাদা চামড়ার রোধ করে এবং শরীরে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে শরীরকে ফর্সা করে । 

তাই আপনার ত্বকে যদি এন্টি এক্সিডেন্ট যুক্ত নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন তবে বেশি পরিমাণে উপকৃত হবে । এ সকল উপাদান রয়েছে এমন নাইটক্রিম ব্যবহার করুন ।

শীতে মেয়েদের জন্য কোন ক্রিম সবচেয়ে ভালো | শীতের ক্রিম

শীতে মেয়েদের জন্য কিছু ক্রিম রয়েছে যেগুলো অনেক উপকারী। এ সকল ক্রিম ব্যবহার করে শীতের বিভিন্ন সমস্যা জেগে মুক্ত থাকা যায় । এই ক্রিমগুলো সব জায়গায় পাওয়া নাও যেতে পারে তাই আপনার হাতের নাগালে যেটি পাবেন সেটি ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো সবগুলোই ভালো ক্রিম তাই আপনার ইচ্ছা মতো একটি বেছে নিতে পারেন যেটি আপনার জন্য ভালো হবে । ক্রিম গুলো হল
  • হিমালয়া নারিশিং স্কিন ক্রিম
  • পন্ডস ড্রাই স্কিন ক্রিম
  • ওল্যাই মশ্চারাইজিং ক্রিম
  • ফ্যাব ইন্ডিয়া সিল্ক প্রোটিন নারিশিং ক্রিম
  • লোটাস হারবালস হুইট নারিশ হুইট জার্ম অয়েল অ্যান্ড হানি নারিশমেন্ট ক্রিম
  • নারিশিং কোল্ড ক্রিম, অ্যাভন কেয়ার
  • লাইকোরিস কোল্ড ক্রিম, ভি.এল.সি.সি
সতর্কতা- শরীরে যদি এলার্জি জনিত কোন ধরনের সমস্যা থাকে তবে এই ক্রিমগুলো ব্যবহার না করাই ভালো ।

শীতকালে কোন নাইট ক্রিম মাখা উচিত | শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো

ল্যাকটিক অ্যাসিড ও হাইলোরনিক অ্যাসিডযুক্ত ময়েশ্চারাইজার শীতকালে মাখা উচিত এ ময়েশ্চারাইজার টি অনেক ভালো। এই দুইটি উপাদান আপনার ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই এই দুইটি উপাদান রয়েছে এমন কয়েকটি ক্রিম আপনি বাজারে পেয়ে যাবেন তার মধ্যে থেকে যেকোনো একটি নিয়ে আপনি ব্যবহার করতে পারেন 

কারণ যে উপাদানগুলোতে আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হবে সেই উপাদান গুলোর ক্রিম ব্যবহার করলে আপনি বেশি ভালো উপকৃত হবেন এছাড়াও যদি অন্য কোন উপাদান যুক্ত ক্রিম আপনি ব্যবহার করেন এতে আপনার ক্ষতি সাধন হতে পারে তাই তোকে সুন্দর এবং চকচকে পরিষ্কার ফর্সা ও মসৃণ রাখার জন্য ল্যাকটিক অ্যাসিড ও হাইলোরনিক অ্যাসিডযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন নিশ্চিন্তে ।

শীতের সময় কোন ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত

শীতের সময় আপনি একটি ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন যার নাম হিমালয়া । এ ফেসওয়াশটি উত্তর তো ভালো এবং আপনার ত্বক কে করবে সুন্দর প্রাণবন্ধু এবং ফর্সা । ত্বকের বিভিন্ন ময়লা থাকলে এটি পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে। আপনি এটি ব্যবহারের জন্য বাজার থেকে কিনতে পাওয়া যাবে । 

এটি ব্যবহার করার সময় তো হালকা ভাবে ঢোলতে হবে অতিরিক্ত চাপ দিয়ে ঘষাঘষি করা যাবে না । এটি আপনি দিনের যেকোনো সময় ব্যবহার করতে পারবেন । বাইরে যাওয়ার আগে ব্যবহার করবেন এবং বাইরে থেকে আসার পর এটি ব্যবহার করলে ত্বকের লেগে থাকা অতিরিক্ত তেল চর্বি এবং ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায় ।

পরামর্শ

উপরে সাধারণভাবে যেগুলো আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো মূলত একজন সুস্থ মানুষের জন্য তবে গর্ভবতী কিংবা তাকে এলার্জি জড়িত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ সতর্কতা। গর্ভবতী মায়ের জন্য রয়েছে আলাদা ধরনের নাইট ক্রিম আলাদা ধরনের লোশন তাই তারা এগুলো অবশ্যই ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন । 

শীতকালে ত্বকের যত্ন না নিলে ত্বকের অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে যা পরবর্তীতে পূরণ করা সম্ভব হয় না তাই শীত থাকতেই আপনাকে ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে । 
সতর্কতা - এলার্জি বা ত্বকের চুলকানি জড়িত কোন সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তি চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্রিম অথবা যেকোনো ধরনের উপাদান ব্যবহার করুন ।

শেষ কথা

শীতে নিজের যত্ন নিতে আমাদের কাছ থেকে আপনি যে স্বাভাবিক ধারণাটি পেয়েছেন এই ধারণাটি অবশ্যই আপনার উপকৃত হতে সাহায্য করবে। এখান থেকে উপকৃত হবার পর অবশ্যই আপনি চাইবেন আপনার আশেপাশের মানুষেরও যাতে উপকৃত হয় । তাই অবশ্যই পোস্ট সবার সাথে শেয়ার করবেন। 

আমরা শীতের নানা ধরনের ঘরোয়া উপায় এবং শীতে ত্বকের যত্নে আপডেট টিপস দিয়ে পরবর্তী পোস্টে জানিয়ে দেবো পরবর্তী পোস্ট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন টেক২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url