তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় | তৈলাক্ত ত্বকের ফেসপ্যাক

ত্বকের সব থেকে বড় সমস্যা হল তৈলাক্ত ভাব । ত্বক তৈলাক্ত অবস্থায় থাকলে ত্বকে ব্রনের আক্রমণ বেশি দেখা যায় । তাই ব্রণ দূর করার আগে আপনাকে দূর করতে হবে তৈলাক্ত ভাব। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম সেগুলো ফলো করে চলে আপনার টক হয়ে যাবে মসৃণ এবং সুন্দর উজ্জ্বল। আজকের উপায় গুলো ব্যবহার করতে বেশি ব্যয় করতে হবে না এগুলো খুবই স্বল্প মূল্যে করা সম্ভব।
ত্বক থেকে তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য যে ফেসপ্যাক তৈরি করা হয় খুবই সহজ ভাবে তৈরি করা যায় । ফেসপ্যাক কিভাবে তৈরি করবেন এবং কিভাবে ব্যবহার করবেন এটি সঠিকভাবে জানা থাকলে আপনি খুব সহজে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করতে পারবেন। আজকে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ আলোচনা করব । ঘরে বসেই রূপচর্চা করতে পারবেন খুব সহজে।
সূচিপত্র

ভূমিকা তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় | তৈলাক্ত ত্বকের ফেসপ্যাক

তৈলাক্ত ত্বকের কারণে ব্রণ বেশি বের হয় কারন তো থেকে যখন তেল বের হয় তখন এই তেল ত্বকের উপর ছোট ছোট জায়গা ছিদ্রের মধ্যে আটকে যায়। তেল আটকে বেশিদিন থাকার ফলে সেখান থেকে ব্রণ বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং যাদের এই সমস্যা হয় তাদের অবশ্যই ফেসপ্যাক ব্যবহার করা উচিত । ফেসপ্যাক ব্যবহারের ফলে ত্বকে জমে থাকা সকল তেল পরিষ্কার হয়ে যায় । 

ত্বক পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার ফলে ত্বকে ময়লা জমতে পারে না যার ফলে ব্রণ বের হয় না। তাই যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের জন্য আজকের ফেসপ্যাক টি ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । শীতের সময় এই সমস্যা বেশি দেখা যায় তাই প্রথম থেকেই ত্বকের যত্ন নিতে হবে।অতিরিক্ত সিবাম উপাদান বেড়ে গেলে এই সমস্যা হতে পারে ।

কিভাবে মুখের তৈলাক্ততা দূর করা যায়?

মুখের তৈলাক্ততা দূর করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে তোকে তৈলাক্ত দুর করা যায়। তবে কয়েকটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো খুব সহজে ফলো করা সম্ভব যেমন-
  • বারবার পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধৌত করে
  • ভালো মানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করে
  • ব্লটিং পেপার ব্যবহার করে
  • মুখে যেন ধুলাবালি বা যেকোন ধরনের ময়লা না লাগে সেজন্য মাস্ক ব্যবহার করে
  • ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করার ফলে তৈলাক্ততা দূর করা যায়

মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়

মুখ ধোয়া- আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত তবে আপনার প্রতিদিন অন্তত দুইবার ভালো হবে পরিষ্কার করে পানি দিয়ে ধোয়া উচিত। পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুলে সকল জীবাণু পরিষ্কার হয়ে যাবে তাই দিনে প্রতিবার অন্তত পরিষ্কার পানি দিয়ে ধৌত করুন। পরিষ্কার পানি দিয়ে ধৌত করার ফলে মুখ থাকবে জীবাণু মুক্ত এবং ব্রণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

সাবান- আমরা সাধারণত যে সকল সাবান ব্যবহার করি এই সকল সাবান ক্ষার জাতীয় হয়ে থাকে কিন্তু ক্ষার জাতীয় স্বভাব ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর তাই ক্ষার জাতীয় সাবান পরিহার করতে হবে । ক্ষার জাতীয় সাবানের পরিবর্তে গ্লিসারিনযুক্ত কিছু সাবান রয়েছে এ সকল সাবান ব্যবহার করে মুখে তৈলাক্ত ত্বকের রক্ষা পাওয়া যায়।

ফেসওয়াশ - তৈলাক্ত ত্বকের এর জন্য আপনি ভালো মানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন । মুখ ধৌত করার সময় ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে মুখের জমে থাকা যতগুলো ময়লা রয়েছে সব ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে যায় । ত্বকের কোনায় কোনায় লুকিয়ে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার ফলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়ে যায় ।

ব্লটিং পেপার- ত্বকের অতিরিক্ত ভাব দূর করার জন্য সঠিক ব্লটিং পেপার এর গুরুত্ব অপরিসীম। ত্বকে যেহেতু অতিরিক্ত তেল বের হয় এটি বিভিন্নভাবে দূর করা যায় তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকারী পদ্ধতি হলো ব্লটিং পেপার ব্যবহার করা । প্রতিদিন আপনি এটি প্রয়োজন মত ব্যবহার করতে পারেন ।

তৈলাক্ত ত্বকের ফেসপ্যাক

ডিমের সাদা অংশও লেবুর রসসাইট্রিক এসিড ত্বকের জন্য উপকারী কারণ সাইট্রিক এসিড প্রচুর পরিমাণে তেল চুষে নিতে সক্ষম হয়। প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড পাওয়া যায় লেবুর রসে । তাই ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য লেবুর রস ব্যবহার করতে পারে। লেবুর রসের সাথে ব্যবহার করতে পারেন ডিমের সাদা অংশ। ডিমের সাদা অংশ লেবুর রস দিয়ে একটি প্যাক 

তৈরি করা যায় পদ্ধতি হলো-এক চা চামচ লেবুর রস এর সাথে একটি ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটে নিতে হবে এবার মিশ্রণটি মুখমন্ডলের উপর লাগিয়ে দিতে হবে। এটি লাগিয়ে প্রায় ২০ মিনিট রেখে দিন তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে । পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে পানি হালকা কুসুম গরম করে নিন। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধৌত করার পর মুখ মুছে ফেলুন নরম তোয়ালে দিয়ে ।
সতর্কতা- যাদের শরীরে এলার্জি আছে তারা ডিমের প্যাক ব্যবহার করবেন না ।

কাজুবাদাম- ত্বকের একটি বড় ধরনের সমস্যা হল মরা চামড়া । শীত আসার সাথে সাথে দেখা যায় তো থেকে মরা চামড়া উঠে যেতে দেখা যায় এই যে আমরা উঠে যাওয়ার পরে ত্বক হয়ে যায় খসখসে এর ফলে ত্বক কালো দেখায় এবং ত্বক হারাই উজ্জ্বলতা। এই সমস্যার সমাধানের জন্য কাজুবাদামের গুরুত্ব অপরিহার্য । তাই কাজু বাদাম ফেঁসে ব্যবহার করার জন্য গুরা করে নিতে হবে ।

গুরা করা কাজু বাদামের সাথে নিতে হবে কাঁচা মধু । দুই চা চামচ কাঁচা মধু এবং তিন চা চামচ কাজুবাদাম গুড়া নিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে । এরপর মিশ্রণটি মুখমন্ডলে হালকা ঘষে লাগিয়ে দিতে হবে । কিছুক্ষণ ঘষে লাগানোর পর রেখে দিতে হবে কয়েক মিনিট তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধৌত করতে হবে ।
 

টমেটো- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য টমেটো খুবই উপকারী একটি উপকরণ । ত্বকের ছোট ছোট ছিদ্রের ভিতরে জমে থাকা ময়লা গুলো বের করার জন্য টমেটোর গুরুত্ব অপরিহার্য । টমেটো ব্যবহার করার জন্য প্রথমে একটি টমেটো সিপে রস বের করে নিতে হবে । একটি টমেটোর যে পরিমাণ রস বের হবে তার সাথে আপনি দুই চা চামচ চিনি মেশাবেন 

এরপর ভালোভাবে নেড়ে নেওয়ার পর প্যাক টি গালে ঘষে ঘষে মাসাজ করে দিবেন । কিছুক্ষণ মেসেজ করা হয়ে গেলে রেখে দেবেন । প্রায় পাঁচ মিনিট রাখার পর দেখা যাবে শুকিয়ে গেছে । শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে । এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করলে ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ।

জোজোবা অয়েল - যাদের মুখে অতিরিক্ত ব্রণ বের হয় তাদের জন্য জোজোবা ওয়েল খুবই কার্যকারী একটি উপাদান। এটি ব্যবহারের পরে আপনার মুখে যে অতিরিক্ত ব্রণ বের হচ্ছে তার হাত থেকে খুব সহজেই রক্ষা পাওয়া যায় । তবে জোজোবা অয়েল ব্যবহার করার কিছু নিয়ম রয়েছে এবং এটি অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত অতিরিক্ত ব্যবহার করলে সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে ।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মধু

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই কার্যকারী উপাদান হল মধু । প্রতিদিন মধু ব্যবহার করার অভ্যাস করুন। মুখের ওপরে মধুর প্রলেপ লাগিয়ে আট থেকে দশ মিনিট রেখে দিন। ৮ থেকে ১০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর মধ্য যখন শুকিয়ে আসবে তখন ভালো হবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবার নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুছে নিয়ে এভাবেই রেখে দেন 

কিছুক্ষণ এর ফলে মুখের তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে । এই প্রক্রিয়াটি আপনি প্রতিদিন চালিয়ে যেতে পারেন। এতে আপনার ত্বক ফিরে পাবে উজ্জ্বলা দেয় এবং ত্বকের বিভিন্ন রোগ নিরাময় হয়ে যাবে। অনেক সময় দেখা যায় ত্বকের সাদা চামড়া দেখা যায় এই সমস্যার জন্য মধু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে যেগুলো মেনে চললে ত্বক ফর্সা করা সম্ভব তবে এই ব্যাপারটি একটু সময় সাপেক্ষ । যাদের ত্বক স্থায়ীভাবে কালো তাদের ক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগলে এটি কার্যকারী। আজকে কয়েকটি উপায় সম্পর্কে এবং কয়েকটি প্যাক আপনাদের সামনে দেখাবো যেগুলো দ্বারা আপনি খুব সহজেই ফর্সা হতে পারবন । সেগুলো হলো-

টমেটো আর মধুর প্যাক - টমেটো আর মধুর প্যাক ব্যবহার করে আপনার তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পেতে পারবেন এবং আপনার ত্বক হয়ে যাবে ফর্সা । এটি তৈরি করতে হলে একটি টমেটোর রস বের করে নিতে হবে এবং এর সাথে মেশাতে হবে ১ চা চামচ মধু । এবার গালে ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে এটি পনেরো থেকে ২০ মিনিট রাখার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে পরিষ্কার করে।

দুধ আর লেবুর রসের প্যাক - দুধ আর লেবুর রসের প্যাক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী । এটি ব্যবহারের জন্য আপনার লাগবে এক চা চামচ লেবুর রস এবং দুধ লাগবে .১ চা চামচ । দুইটি একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে গালে লাগিয়ে রাখতে হবে কিছুক্ষণ তারপর শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধৌত করতে হবে এভাবেই একদিন পরপর এই প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে ।বেসন আর 

লেবুর রসের প্যাক- বেসন আর লেবুর রসের উপাদান ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এই দুটি ব্যবহারের জন্য এক চা চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ বেসন এর সাথে মিশিয়ে গালে লাগিয়ে রাখতে হবে পাঁচ থেকে সাত মিনিট এরপর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে । এভাবে এটি ব্যবহার করে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হবেন ।

পেঁপে আর ডিমের মাস্ক - পেঁপে আর ডিমের মাস্ক তৈরি করার জন্য পরিমাণ মতো পেঁপে ও একটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এরপর পুরো মুখমন্ডলে পাতলা প্রলেপ দিয়ে লাগিয়ে রাখতে হবে । শুকিয়ে গেলে দেখবেন শুকনো হয়ে একেবারে পাতলা চামড়ার মত হয়ে লেগে আছে এরপর আস্তে আস্তে টেনে এটা তুলে ফেলুন । এবার পানি দিয়ে মুখমণ্ডল ধৌত করুন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াশ ভালো

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু ফেসওয়াশ । যেসব ফেসওয়াশ ব্যবহার করে ত্বকের অনেক উপকার হবে । তৈলাক্ত ত্বক ভেতরে যেহেতু অনেক ময়লা লুকিয়ে থাকে তাই এটি জন্য ভালো মানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করা জরুরী আজকে কয়েকটি ফেসওয়াশ এর নাম উল্লেখ করে দিচ্ছি আপনি প্রয়োজন মনে করলে এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি চয়েস করে কিনে ব্যবহার করতে পারবেন নিশ্চিতে। ফেসওয়াশের নাম গুলো হলও-
  • দ্য বডি শপ টি ট্রি স্কিন ক্লিয়ারিং ফেসিয়াল ওয়াশ
  • নিউট্রোজিনা ক্লিয়ার এন্ড সুদ মূজ ক্লিনজার
  • নিউট্রোজিনা অয়েল ফ্রি অ্যাকনে ওয়াশ
  • কজারেক্স স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ডেইলি জেনট্যাল ক্লিনজার

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের বরণ খুবই ভয়ংকরী হয়ে থাকে কারণ যতবার ব্রণ ভালো হয় পরেরবার আবার বের হতে থাকে সেখান থেকেই । এ ধরনের ত্বকে ব্রণ বের হয় সাধারণত যেখানে ময়লা জমে থাকে সেখান থেকে। তাই তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার আগে আপনাকে দূর করতে হবে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত । এর জন্য আপনাকে উপরে উল্লেখ করা ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চলতে হবে 

অথবা আমাদের দেওয়া যেই ফেসওয়াশ এর নাম গুলো সেগুলোর মধ্যে থেকে যেকোন একটি ব্যবহার করতে হবে । তবে মনে রাখবেন রাতারাতি এটি সম্ভব হবে না একটু সময় লাগবে কিন্তু ধৈর্য ধরে করে যেতে হবে । অনেকে আছেন যারা রাতারাতি সমাধান চান কিন্তু রাতারাতি সমাধান খুঁজতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েন । তাই ভালোভাবে আমাদের প্যাকগুলো বানিয়ে ব্যবহার করতে থাকুন আপনি উপকৃত হবেন অবশ্যই ।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল খুবই উপকারী একটি উপকরণ কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সাইড । তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে মসুর ডালের সাথে বিভিন্ন ধরনের উপাদান মিশিয়ে প্যাক তৈরি করা সম্ভব যা ব্যবহার করে ত্বকের উপকার সাধন করা যায় । মসুর ডালের গুরুত্ব অপরিসীম হওয়ার কারণে অনেকেই আছে মসুর ডাল দিয়ে রূপচর্চা করে থাকে । 

তাই আপনিও এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এটি ব্যবহার করতে হলে প্রথমে গুড়া করে নিতে হবে এরপর আমাদের উপরে দেওয়া প্যাকের সাথে এক যা চামচ করে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন । এটি ব্যবহার করার ফলে কোন পার্শী প্রতিক্রিয়া নেই । তবে পরিমাণ মতো ব্যবহার করা উচিত। মসুর ডালের সাথে ব্যবহার করা যায় মধু । 

মসুর ডালের গোড়া ও মধু একসাথে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী হিসেবে কাজ করবে । এছাড়া মসুর ডালের সাথে আলু দিয়ে প্যাক তৈরি করা যায় । এছাড়াও চালের গুড়া ও মসুর ডাল দিয়ে প্যাক তৈরি করা যায় ।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ক্রিম

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কিছু ক্রিম রয়েছে যে সকল ক্রিম আপনি দিনে ব্যবহার করতে পারবেন। সে সকল ক্রিম ব্যবহার করে তোকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব এবং এগুলো পাওয়া যায় খুব সুলভ মূল্যে । আপনি যে কোন একটি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন তবে আজকে কয়েকটি ক্রিমের নাম বলে দিচ্ছি এগুলোর মধ্যে থেকে আমরা ইচ্ছা করে একটি নিয়ে দিনের বেলা ব্যবহার করতে পারে। নামগুলো হলো-
  • গ্লো অ্যান্ড লাভলি মাল্টি ভিটামিন ক্রিম - এই ক্রিমটি অত্যন্ত ভালো ক্রিম যা আপনি দিনের বেলা ব্যবহার করে অনেক উপকৃত হবেন । তবে এটি ব্যবহারের আগে এলার্জিজনিত সমস্যা আছে কিনা ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তারপরে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিবেন।
  • গার্নিয়ার স্কিন ন্যাচারালস লাইট কমপ্লিট সিরাম ক্রিম -এই ক্রিমটি ব্যবহার করে খুব সহজে আপনার তৈলাক্ত ত্বক থেকে নিরাময় পাওয়া সহজ হবে ।
  • ল্যাকমে অ্যাবসলিউট পারফেক্ট রেডিয়েন্স ক্রিম- ত্বকের জন্য এটিও খুবই উপকারী একটি ক্রিম বাজারে পাওয়া যায় সুলভ মূল্যে ।
  • ক্রিম হলো লোটাস হার্বালস ওয়াইট গ্লো জেল ক্রিম -এটি সাধারণত দিনে ব্যবহার করার জন্য ক্রিম হিসেবে খুবই ভালো ।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন রুটিন

যত্নে রুটিন নিয়ম করার কোন প্রয়োজন আছে কিনা সেটি সফল ভাবে সবার জানা নেই। তো সবকিছুই একটি সুন্দর রুটিন থাকা প্রয়োজন যার মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন একই সময় একইভাবে কাজ করতে পারবেন । একটি রুটিন অনুযায়ী আপনার রূপচর্চা করা প্রয়োজন । নিজের কাজ নিজে করবেন কখন করবেন কিভাবে করবেন তার জন্য একটি সহজ রুটি তৈরি করে রাখুন। 

 সকাল থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কখন কিভাবে রূপচর্চা করতে চাচ্ছেন সে অনুযায়ী একটি সহজ সুন্দর রুটির সাজিয়ে রাখুন এতে আপনার ত্বকের জন্য উপকারী এবং আপনার জন্য রূপচর্চা করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। রুটিন অনুযায়ী কাজ করলে যে কোন কাজে সফলতা সহজে আসে ।

পরামর্শ

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে অনেকেই অনেক মন্তব্য করতে পারে সবার কথায় কান দেওয়া উচিত হবে না কারণ একটু ভুল হলেই আপনার ত্বকের চামড়ায় পড়ে যেতে পারে কালো দাগ আর এই কালো দাগ দূর করা অনেক কঠিন তাই আমাদের দেওয়া ফেসপ্যাক গুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পেতে পারেন ।

তৈলাক্ত ত্বক দূর হলে ব্রণ এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে তাই আপনার উচিত ব্রণ দূর নাকরে আগে তৈলাক্ততা দূর করা । এর জন্য আপনি ভালো মানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন । ফেসওয়াশের পাশাপাশি যেসব ঘরোয়া উপায় দেখানো হয়েছে এগুলো ট্রাই করে দেখতে পারেন আশা করি উপকৃত হবেন।
সর্তকতা - এলার্জি কিংবা শরীরের যেকোনো ধরনের চুলকানি সমস্যা থাকলে আমাদের দেওয়া ফেসপ্যাক এবং ফেসওয়াশ গুলো ব্যবহারের আগে ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে দিবেন ।

শেষ কথা

উপরে আমরা আপনার উপকারের জন্য কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যেগুলো আপনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আপনার জন্য ভালো মনে হলে তারপরে ব্যবহার করবেন অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনার জন্য কেউ দায়ী থাকবে না । উপরের প্যাক আপনার ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে চাইলে আগে ভালোভাবে জেনে নিন আপনার ত্বকের জন্য কোন প্যাক কার্যকারী হবে । 

আশা করছি আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন এবং আপনি যদি উপকৃত হন আশেপাশের সবাইকে সুস্থ রাখতে পোস্ট শেয়ার করে দিবেন এবং নতুন নতুন আপডেট পোস্টার নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন টেক২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url